BY- Aajtak Bangla
7 June, 2025
বাংলা ক্যালেন্ডারে চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। জ্যোতিষ মতে প্রতি মাসে কিছু না কিছু সবজি খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বছরের ওই মাসগুলিতে নির্দিষ্ট কিছু শাক সবজি খেলে তা শারীরিত অসুস্থতা নিয়ে আসে। সংসারে পড়ে অমঙ্গলের ছায়া।
সেই প্রাচীন রীতি মেনে বলা হয় জ্যৈষ্ঠ মাসে লাউ খাওয়া নিষিদ্ধ। বহু বাঙালি বাড়িতে পালন করা হয় এই রীতি।
কিন্তু কেন এই সময় লাউ খেতে নেই, কারণ রয়েছে জ্যোতিষেই।
আগে বলা হত, জ্যৈষ্ঠ মাসে লাউ খেলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়৷ কিন্তু লাউয়ের মতো উপকারী সবজি গ্রীষ্মকালে ক্ষতিকর হবে কেন? সেটাও ভেবে দেখার মতো বিষয়।
জ্যৈষ্ঠের পরই আসে আষাঢ় ও শ্রাবণ৷ অর্থাৎ গ্রীষ্মের পরে আসে বর্ষাকাল। এই সময়ে নতুন বীজ থেকে চারাগাছ পাওয়ার ঋতু৷ তার জন্য তো দরকার বীজ।
সেই বীজ যাতে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে, তাই জ্যৈষ্ঠ মাসে লাউ সংরক্ষণ করা হয় গাছে, যাতে বীজগুলি বীজতলায় বিছিয়ে পরবর্তী গাছের প্রস্তুতি করা যায়।
কারণ সব বীজ থেকে আদৌ গাছ জন্ম নেয় না। তাই যথেষ্ট পরিমাণে লাউ তথা লাউয়ের বীজ সংরক্ষণ না করলে উপায় নেই।
গ্রামীণ বাংলায় প্রচলিত হয়েছিল এই ধরনের একাধিক রীতি নীতি তথা সংস্কার। যা আজও কিছু কিছু জায়গায় মানা হয়ে থাকে।