1 DECEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
স্বাস্থ্য সমস্যা, বিবাদ এবং অর্থের ক্ষতির মতো সমস্যা যদি বাড়িতে থেকে যায়, তবে আপনার বাড়ির বাস্তুতে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির শক্তি প্রবাহ উন্নত করে এই সমস্যাগুলি সমাধান করা যেতে পারে। বাস্তুর সহজ উপায় অবলম্বন করে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চালন বাড়ানো যায়।
এটি শুধুমাত্র আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে না, সঙ্গে পরিবারের মধ্যে ভালবাসা এবং সমৃদ্ধিও বাড়াবে। এখানে বাস্তু ত্রুটি এড়াতে এবং ইতিবাচকতা বাড়াতে কিছু ব্যবস্থা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বাড়ির আশেপাশে বাবলা, কিকরের মতো কাঁটাযুক্ত গাছ বা মহুয়ার মতো দুধের গাছ লাগালে নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়ে। আপনার বাড়ির কাছে যদি এমন গাছ আগে থেকে থাকে তবে সেগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে। তাদের জায়গায়, ফলদায়ক বা সবুজ গাছ লাগান যা শুভ শক্তি আকর্ষণ করে।
ব্রহ্মস্থান অর্থাৎ প্লটের কেন্দ্র হল বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখান থেকে পুরো বাড়িতে শক্তির ভারসাম্য তৈরি হয়। এই জায়গাটি পরিষ্কার এবং খালি রাখুন। এখানে ভারী জিনিস রাখা ইতিবাচক শক্তিকে ব্লক করে, যার কারণে পারিবারিক সমস্যা এবং স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আপনি এই জায়গায় প্রদীপ বা আলংকারিক গাছের মতো আলো এবং শুভ প্রতীক রাখতে পারেন।
লাগাতার জল পড়া আর্থিক ক্ষতির প্রতীক। বাড়ির ট্যাপ লিক হলে বা পাইপ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অবিলম্বে মেরামত করুন। এটি কেবল বাস্তু ত্রুটিগুলি সমাধান করবে না, সঙ্গে জলের অপচয়ও রোধ করবে। এছাড়াও, এটি সম্পদ এবং স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই উপকারী হবে।
বাড়ির চত্বরে পায়রার বাসা বানানো বাস্তু দোষের লক্ষণ। কবুতরের বাসা বাড়িতে নেতিবাচকতা এবং অশুভ লক্ষণ দেয়। এটি দূর করতে, ঝাড়ু দিয়ে এলাকাটি পরিষ্কার করার মতো ঘরোয়া প্রতিকার গ্রহণ করুন।
বাস্তু মতে, আবর্জনা রাখলে ঘরে বাধা ও নেতিবাচকতা বাড়ে। পুরনো জিনিসের স্তূপ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অলসতা, নিষ্ক্রিয়তা এবং রোগ সৃষ্টি করে। অবিলম্বে অব্যবহৃত জিনিসগুলি সরান এবং ঘর গোছানো রাখুন।
শস্য এবং অন্যান্য আইটেম সংরক্ষণের জায়গা পরিষ্কার এবং সংগঠিত রাখুন। নোংরা এবং অপরিচ্ছন্ন স্টোরেজ পরিবারে সম্পদ এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। শস্য সংরক্ষণের জন্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রাধিকার দিন।
ঘরে নিয়মিত ধূপ, ধূপকাঠি বা কর্পূর জ্বালান। এর সুগন্ধ নেতিবাচকতা দূর করে এবং ঘরের পরিবেশকে আনন্দময় করে তোলে। পরিবারের সদস্যদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও এটি উপকারী।