5  AUGUST,  2024

BY- Aajtak Bangla

ঘরে নেচিবাচক শক্তি বাসা করেছে, এমন  লক্ষণ দেখলেই বুঝে যাবেন

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে রাখা প্রতিটি জিনিসেরই নিজস্ব শক্তি থাকে। যার কারণে ঘরে নেতিবাচকতা এবং ইতিবাচকতা উভয়ই বাস করতে পারে। ঘরে নেতিবাচক শক্তি থাকলে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।

অনেক সময় এমন হয় যে আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মনে হয় ঘরে কেউ আছে বা কেউ আমাদের গোপনে দেখছে। এমনটা যদি মাঝে মাঝে হয়, সেটা স্বাভাবিক, কিন্তু প্রতিদিন যদি এমনটা হয়, তাহলে সেটা ঘরে নেতিবাচক শক্তির লক্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে হবে।

ঘরে নেতিবাচক শক্তির কারণে বাস্তু দোষ। এমন পরিস্থিতিতে বাস্তুশাস্ত্রে এমন অনেক প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে যা দিয়ে বাস্তু দোষ দূর করার চেষ্টা করা যেতে পারে।

আপনার ঘরে যদি বাস্তু ত্রুটি থাকে তবে এটি আপনার ঘরে উপস্থিত কিছু জিনিসের কারণে হতে পারে যা আপনার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূর করা উচিত।

অনেক সময় এমন হয় যে আমরা ঘরে আবর্জনা  রাখি। অপ্রয়োজনীয় খালি বাক্স বা কাগজের কারণে বাস্তু দোষ হয়। অতএব, আপনার আজই ঘর থেকে এই অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি সরিয়ে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ। ঘরে আবর্জনা রাখলে দুঃস্বপ্ন দেখা দেয়। স্টোর রুমে সর্বদা আবর্জনা রাখুন।

প্রায়শই লোকেরা ঘরে মৃত আত্মীয়দের ছবি রাখে। ঘরে মৃত আত্মীয়দের ছবি রাখাও বাস্তু দোষের কারণ। আপনার মৃত আত্মীয়দের ছবি হল বা এমন ঘরে ঝুলিয়ে রাখা উচিত যেখানে আপনি ঘুমান না। বেডরুমে মৃত আত্মীয়দের ছবি রাখলে ভয়ের সৃষ্টি হয় এবং ভয়ে মানুষ ঘুমাতে পারে না।

ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিস বা শো-পিসের মতো ভাঙা জিনিস রাখা উচিত নয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসপত্র এবং ভাঙা জিনিসও বাস্তু দোষের কারণ। বিক্ষিপ্ত এবং ভাঙা জিনিস নেতিবাচকতা ছড়িয়ে দেয় যা একজন ব্যক্তির উন্নতিকে বাধা দেয়। তাই সময় পেলেই বের করে দিন।

ঘুমনোর সময়ও খেয়াল রাখবেন আপনার পা যেন দক্ষিণ দিকে না থাকে। দক্ষিণ দিক হল যমের দিক এবং এই দিকে পা রাখা উচিত নয়। দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে ঘুমাতে হবে।