8 June 2024
BY- Aajtak Bangla
অনেকেই বাস্তু মেনে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন। এর ফলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে বলে মনে করা হয়।
অ্যাকোয়ারিয়ামের ক্ষেত্রেও তাই বাস্তু মেনে চলা যেতে পারে। এর ফলে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হয়।
বাস্তু অনুযায়ী, বাড়ির কোনও অংশ চলমান জল ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে। অ্যাকোয়ারিয়ামের ফিল্টারকে সেভাবেই ব্যাখা করা হয়।
বাস্তু তো বটেই, মনোবিজ্ঞান অনুসারেও অ্যাকোয়ারিয়াম দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন, রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করুন। তাই অ্যাকোয়ারিয়াম রাখুন এমন কোথাও, যেখানে পাশে বা সামনে বসে দেখা যাবে।
বসার ঘর বা ড্রয়িং রুমেই তাই অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা উচিৎ। তবে সাউন্ড সিস্টেম, টিভির পাশে রাখা যাবে না।
বোল, ছোট অ্যাকোয়ারিয়ামে বড় মাছ রাখবেন না। এতে মাছের কষ্ট হয়, বৃদ্ধি থেমে যায়। নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আপনার জীবনেও।
বাস্তুমতে ঘরের উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ পূর্ব দিকে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা উচিৎ।
মাছ মরলে তা আপনার ভাগ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই অ্যাকোয়ারিয়াম শুধুই ঘর সাজানোর জিনিস ভাববেন না।
মাছ রাখার বিজ্ঞান, নিয়ম শিখুন। দোকান থেকে নয়। বরং গুগল, ইউটিউব এবং ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে মাছ পোষার বিষয়ে শিখে নিন।
গোল্ডফিশ রাখা শুভ। কিন্তু ছোট অ্যাকোয়ারিয়াম, বোলে রাখা অশুভ। অন্তত ৩ ফুটের অ্যাকোয়ারিয়াম না হলে রাখবেন না। তাতে বড়জোড় ৩-৪টি। গোল্ডফিশ পুষতে চাইলে চৌবাচ্চা বানান।
কোন মাছের সঙ্গে কোন মাছ রাখা যায় তা জানুন। মাছেদের মধ্যে মারপিট, লেজ ছিঁড়ে যাওয়ার মতো বিষয় হলে তা নেতিবাচক।
অ্যাকোয়ারিয়ামে জলজ গাছ করতে পারলে তা শুভ। জলজ গাছ করার পদ্ধতি শিখে নিন।