BY- Aajtak Bangla
বিশ্বকর্মা পুজো ১৭ সেপ্টেম্বর (Vishwakarma Puja)। প্রতিবছর একটাই দিন। তারিখ বদল হয় না। বিশ্বকর্মা হলেন দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার।
ঋক বেদ অনুসারে বিশ্বকর্মা স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিদ্যা বিদ্যার জনক।
পুরান অনুযায়ী, কৃষ্ণের দ্বারকানগরী নির্মাণ করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার, স্থাপত্যশিল্পীদের দেবতা।
পশ্চিমবঙ্গে একটি বড় অংশে বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। পেটকাটি, চাঁদিয়াল সহ নানা রঙের ঘুড়ি ওড়ে আকাশে।
কথিত আছে, বিশ্বকর্মা সব দেবতাদের জন্য উড়ন্ত রথ তৈরি করেছিলেন। যাকে বলা হয় পুষ্পক রথ।
হিন্দু পুরান অনুযায়ী, বিশ্বকর্মা রাবণের লঙ্কা নগরীরও নির্মাতা। বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল, কুবেরের অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকেয়র শক্তি প্রভৃতি তিনি তৈরি করেছেন।
বিশ্বকর্মার হাতে দাঁড়িপাল্লা থাকে। দাঁড়িপাল্লার দুটি পাল্লা জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। অর্থাত্ জ্ঞান অর্জন করো ও কাজ করো।
তাঁর হাতে থাকে হাতুড়িও। হাতুড়ি আপামর শ্রমিক সমাজের মূল যন্ত্র।
রামায়ণের কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডে বিশ্বকর্মার পুত্র বিশ্বরূপকে ইন্দ্র বধ করেছিলেন।