BY- Aajtak Bangla
24 June 2025
রথযাত্রায় লক্ষ ভক্ত জগন্নাথদেবের রথের রশি ছোঁয়ার জন্য ভিড় করেন। কিন্তু এই রশি ছোঁয়ার আধ্যাত্মিক মানে অনেকেই জানেন না।
রথের রশি ছুঁলে
বিশ্বাস করা হয়, রথের রশি ছোঁয়ার মাধ্যমে বহু পাপ দূর হয়। একে তুলনা করা হয় গঙ্গাস্নানের মতোই পবিত্র বলে।
শুধু রশি নয়
ইন্দ্রনীলময় পুরাণে বলা হয়েছে— রথের রশি একবার ছুঁতে পারলে পুনর্জন্ম আর হয় না।
পুনর্জন্মের কষ্ট-মুক্তি
রথের চাকার নীচে প্রাণ দিয়ে কৃষ্ণপ্রাপ্তি নয়, ভক্তি ও ভজনেই ঈশ্বরকে পাওয়া সম্ভব— শ্রীচৈতন্যদেব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এক শিষ্যকে।
শ্রীচৈতন্যের উপদেশ
স্কন্দপুরাণ মতে, জগন্নাথের রথ টানলে অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান ফল লাভ হয়। তাই রশি ছুঁয়ে টানা অতিগুরুত্বপূর্ণ।
অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল
অনেকে রশির সুতো ছিঁড়ে তা দিয়ে মাদুলি বানান। শিশুর হাতে বা গলায় পরিয়ে দেওয়া হয়— বিপদ থেকে রক্ষার আশায়।
রশির টুকরো দিয়ে
রশির সুতো বালিশের নিচে রাখলে রাতের দুঃস্বপ্ন নাকি আর আসে না— এমনটাই বলেন বিশ্বাসীরা।
দুঃস্বপ্ন তাড়াতে
উল্টোরথে ছোটরা যখন খেলনা রথ টানে, পথচলতি প্রৌঢ়রাও রশি ছোঁন— এটা আসলে হৃদয়ের টান!
খেলনা রথেও
সূতসংহিতা, কপিল সংহিতা, বামদেব সংহিতা— প্রায় সব শাস্ত্রেই রথের রশির পুণ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সংহিতা ও পুরাণে
শেষ কথা, রথের রশির মাহাত্ম্য আসলে বিশ্বাসেই নিহিত। ভক্তির চোখেই ঈশ্বর দর্শন সম্ভব।
বিশ্বাসই আসল শক্তি