27 JUNE, 2025
BY- Aajtak Bangla
রথযাত্রার দিন জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রা তিনটি রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান। সেই রথের রশি/দড়ি টানার জন্য সকলে ভিড় জমান।
ধর্মীয় বিশ্বাস রথের দড়ি টানলে বিরাট পুণ্য ফল মেলে। যে কারণে সকলেই রথের দিন একবার চেষ্টা করেন রশি স্পর্শ করার। যারা রথের দড়ি ছুঁতে না পারেন, তারা অন্য একটি জিনিস স্পর্শ করতে পারেন।
আসলে পুরীর রথ যখন রাস্তা দিয়ে যায়, সেই সময় রাস্তায় তিনটি দাগ পড়ে। বলা হয়, সেগুলি হল গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী।
যে সকল ব্যক্তিরা বার্ধক্যজনিত কারণে বা অন্যান্য কারণে রথের দড়ি ধরতে পারেন না, তারা যদি চাকার ওই তিনটি দাগের ধুলো স্পর্শ করেন তা হলে পুণ্য ফল মেলে।
শুধু ওই রাস্তার দাগ স্পর্শই নয়, ওই তিন দাগে গড়াগড়ি দিলে, গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীতে ডুব দেওয়ার ফলে যে পুণ্য হয়, ঠিক সেটাই মেলে।
কী করবেন?
জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ সম্পূর্ণ নিম কাঠ দিয়ে তৈরি হয়। রাস্তায় যখন কাঠের রথ চলে, সেই সময় যে কড়কড় শব্দ হয়, তাকে বেদ বলা হয়।
মানুষের দেহ ২০৬টি হাড় দিয়ে তৈরি। ঠিক ২০৬টি কাঠ দিয়েই তৈরি হয় জগন্নাথদেবের রথ। এই তথ্য অনেকের অজানা।
জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ। তালধ্বজ হল বলরামের রথের নাম। আর সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন। প্রতি বছর রথের দিন পুরীতে বহু পুণ্যার্থী ভিড় জমান।