BY- Aajtak Bangla
October 8, 2023
হিন্দু ধর্মে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এটি একটি পবিত্র অনুষ্ঠান যাতে অনেক আচার-অনুষ্ঠান এবং রীতিনীতি জড়িত।
হিন্দু ধর্মে বিয়েকে সাতটি জীবনের সাহচর্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরের প্রতি সমর্থন, ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার প্রতিশ্রুতি দেয়।
বিয়ের একটি প্রধান রীতি হল যে কনে সর্বদা বরের বাম পাশে বসেন। এই প্রথার পিছনে রয়েছে অনেক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস।
বরের বাম পাশে কনেকে বসানোর অভ্যাসের মধ্যে অনেক বিশ্বাস এবং অনুভূতি রয়েছে, যা বিবাহিত জীবনে প্রেম এবং বোঝাপড়া বাড়ায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কারণ সম্পর্কে।
বিশ্বাস করা হয় যে ডান হাত শক্তি এবং কর্তব্যের প্রতীক, যখন বাম হাত প্রেম এবং সংবেদনশীলতার প্রতীক। অতএব, কনেকে বাম পাশে বসানোর মাধ্যমে বর ও কনের মধ্যে প্রেম এবং বোঝাপড়ার প্রচার করা হয়।
লক্ষ্মী সমৃদ্ধির দেবী, ভগবান বিষ্ণুর বাম পাশে বসে থাকেন। বিয়েতে কনেকে দেবী লক্ষ্মীর রূপ এবং বরকে ভগবান বিষ্ণুর রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই এই রীতিটি মানা যাতে বাড়িতে সর্বদা সুখ এবং সমৃদ্ধি থাকে।
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, বিয়ের সময় কনেকে বরের বাম পাশে বসতে হবে। এভাবে কনেকে বসানো মানে বিয়ের সময় তাঁকে রক্ষা করা।
বলা হয়, প্রাচীণকালে বর তাঁর ডান পাশে একটি অস্ত্র রাখতেন, যাতে তিনি কনেকে রক্ষা করতে পারেন। যে কারণে কনে বাম পাশে বসতেন, সেই থেকে এই প্রথা চলে আসছে।