20 January 2024
BY- Aajtak Bangla
শাস্ত্র মতে চুরাশি লক্ষ জন্মে বিচরণ করেই আমরা মানবদেহ রূপে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করি।
আত্মা কখনও কখনও পশু, পাখি, পোকামাকড়, বানর প্রভৃতি বিভিন্ন রূপে জন্ম-মৃত্যু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, অবশেষে মোক্ষলাভের লক্ষ্যে মানবরূপে জন্ম নেয়।
মনুষ্য রূপ লাভের পরও মানুষ পার্থিব ভোগ-বিলাসে এতটাই অচেতন হয়ে পড়ে যে, সে ভগবানকে এমনকি জন্ম-মৃত্যুকেও ভুলে যায়।
যেখানে আমরা প্রতিদিন পৃথিবীকে মরতে দেখি। আমাদের আপনজন একে একে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।
একদিন আমাদেরও এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে, আমরা আমাদের কর্ম অনুসারে ফল পাই।
জাগতিক আসক্তি এবং জিনিসের ভোগের মধ্যে আটকে থাকা একজন মানুষ সম্পর্কে একটি খুব আকর্ষণীয় দৃষ্টান্ত রয়েছে।
ধর্মগ্রন্থ অনুসারে চুরাশি লক্ষ জন্মে একবার এই মানবদেহ পাওয়া যায়, তা এটা খারাপ কাজে নষ্ট করলে চলবে না।
তাই সৎ কাজ করতে থাকতে হবে এবং মোক্ষের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মানবজীবনে জন্মের উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে।
কারণ কোনও ভুল করলে আবার চুরাশি লক্ষ জন্মে ঘুরে বেড়াতে হবে। তাই মানব জীবনকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। কারণ এই জীবনে আমরা সৎকর্ম করে জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারি।