27 FEB, 2025
BY- Aajtak Bangla
বাতাসে এখন বসন্তের আমেজ। পলাশ গাছ ফুলে ভরে গিয়েছে। বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় সবচেয়ে বেশি পলাশ ফুলের দেখা মেলে।
এই সময় বহু পর্যটক যান বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় পলাশ ফুলের মেলা দেখতে।
আজকে আপনাদের জানাব বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় পলাশ ফুল দেখার সেরা ১০টি জায়গার কথা।
অযোধ্যা পাহাড় (পুরুলিয়া): অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশ ও আশপাশের এলাকায় বসন্তকালে পলাশ ফুলের লাল আভা ছড়িয়ে পড়ে, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
খয়রাবেড়া ড্যাম (পুরুলিয়া): অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত খয়রাবেড়া ড্যামের আশপাশের এলাকায় পলাশ ফুলের রঙিন দৃশ্য দেখা যায়।
মার্বেল লেক (পুরুলিয়া): অযোধ্যা পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থিত এই লেকের চারপাশে পলাশ গাছের সমারোহ রয়েছে, যা বসন্তকালে লেকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।
মুরগুমা ড্যাম (পুরুলিয়া): মুরগুমা ড্যামের আশপাশের এলাকায় পলাশ ফুলের রঙিন দৃশ্য দেখা যায়, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের আকর্ষণ করে।
বামনী জলপ্রপাত (পুরুলিয়া): অযোধ্যা পাহাড়ের নিকটস্থ এই জলপ্রপাতের আশপাশের এলাকায় পলাশ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
সুতান ফরেস্ট (বাঁকুড়া): মুকুটমণিপুর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুতান ফরেস্ট ঝাড়খণ্ডের দলমা পাহাড়ের সম্প্রসারিত অংশ। বসন্তকালে এই জঙ্গল পলাশ ফুলে লাল হয়ে ওঠে।
শুশুনিয়া পাহাড় (বাঁকুড়া): শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে শাল, সেগুন ও পলাশ গাছের সমারোহ দেখা যায়। বসন্তকালে পলাশ ফুলের রঙে পাহাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
জয়পুর ফরেস্ট (বাঁকুড়া): বাঁকুড়া জেলার জয়পুর বন শাল, সেগুন, পলাশ, কুসুম, মহুয়া ও নিম গাছে সমৃদ্ধ। বসন্তকালে পলাশ ফুলের লাল রঙে বনটি সেজে ওঠে। সেই সঙ্গে রয়েছে বনলতা ও বনবীথী নামের দুটি সুন্দর রিসোর্ট।
মুকুটমণিপুর (বাঁকুড়া): কংসাবতী ও কুমারী নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত মুকুটমণিপুরের আশপাশের এলাকায় বসন্তকালে পলাশ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
রানিবাঁধ (বাঁকুড়া): দক্ষিণ বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমার রানীবাঁধ ব্লকে প্রতি বছর পলাশ ফুলের সমারোহ দেখা যায়, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।