BY- Aajtak Bangla
08 Feb, 2025
ভালোবাসা, সুখ ও আবেগের অনুভূতি মানুষের শরীরে নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। বিশেষ করে অক্সিটোসিন, ডোপামিন, সেরোটোনিন এবং এন্ডোরফিন—এই চারটি হরমোন আমাদের মনকে আনন্দিত ও প্রশান্ত করে।
ভালোবাসা ও সুখানুভূতি বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী উপায় তুলে ধরা হলো।
গভীর আলিঙ্গন, হাত ধরা বা স্নেহপূর্ণ ছোঁয়া শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন বাড়ায়। এই হরমোন সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করে ও ভালোবাসার অনুভূতি গভীর করে।
হাসলে শরীরে এন্ডোরফিনের নিঃসরণ বাড়ে, যা মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভালো রাখে। তাই প্রতিদিন আনন্দদায়ক কিছু করুন, হাসির সিনেমা দেখুন বা বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করুন।
ব্যায়াম করলে ডোপামিন ও এন্ডোরফিন নিঃসরণ বাড়ে, যা মন ভালো রাখে ও ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে। যোগব্যায়াম বা নিয়মিত হাঁটা শরীর ও মনকে চাঙা রাখতে সাহায্য করে।
পোষা প্রাণী, যেমন কুকুর বা বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটালে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এটি মানসিক প্রশান্তি দেয় ও ভালোবাসার অনুভূতি বাড়ায়।
বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে খোলামেলা কথা বললে মানসিক প্রশান্তি আসে। সামাজিক সংযোগ বাড়লে সেরোটোনিনের নিঃসরণ হয়, যা আত্মবিশ্বাস ও সুখবোধ বাড়ায়।
চকলেট, কলা, বাদাম ও দইয়ের মতো খাবার সেরোটোনিন ও ডোপামিন বাড়াতে সাহায্য করে। এগুলো খেলে মন ভালো থাকে ও ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়।
সূর্যের আলো শরীরে ভিটামিন-ডি বাড়ায়, যা সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়ক। তাই প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকলে মন ভালো থাকে ও হতাশা দূর হয়।
নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান করলে কর্টিসলের (স্ট্রেস হরমোন) পরিমাণ কমে যায় এবং অক্সিটোসিন ও সেরোটোনিন বাড়ে। এটি মস্তিষ্ককে শিথিল করে ও মানসিক প্রশান্তি আনে।
সুরেলা সংগীত মন ভালো করে ও মস্তিষ্কে ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়ায়। বিশেষ করে প্রিয় গান শুনলে বা গুনগুন করলে মানসিক চাপ কমে ও সুখানুভূতি বাড়ে।
অন্যকে সাহায্য করলে মস্তিষ্ক থেকে অক্সিটোসিন ও ডোপামিন নিঃসৃত হয়, যা আপনাকে আরও সুখী করে তোলে। তাই দান-খয়রাত, স্বেচ্ছাসেবা বা ছোট ছোট ভালো কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।