22 AUGUST, 2024
BY- Aajtak Bangla
পিতামাতাকে অবশ্যই সন্তানের প্রথম শিক্ষক বলা হয়, তবে শিশুরা দাদু-ঠাকুমার কাছ থেকে যে কাজ এবং গুণগুলি শেখে তা আলাদা এবং বিশেষ বলে বলা হয়।
দাদু-দিদাদের একটা আলাদা ছাপ থাকে বাচ্চাদের ওপর। শিশুরা যখন তাদের দাদু-ঠাকুমার কাছে এক সপ্তাহের জন্য থাকে, তখন তারা তাদের অনেক অভ্যাস গ্রহণ করে।
কিন্তু, আজকের নিউট্রাল পরিবারগুলিতে, শিশুরা তাদের দাদু-দিদিমার সঙ্গে অনেক মাস ধরে দেখা করে না। এই পরিস্থিতিতে সন্তানদের মধ্যে দাদু-ঠাকুমার ভালো অভ্যাস ও গুণাবলি গড়ে তোলার দায়িত্ব বাবা-মায়ের ওপর বর্তায়।
দাদু-দিদিমারা বাচ্চাদের যে গল্প শোনান তার তুলনা নেই। এমনকি শিশুরা যখন বড় হয়, তখনও তারা সেই গল্প মনে রাখে। দাদু-দিদিমার দ্বারা বলা গল্পগুলি কাল্পনিক। এভাবে শিশুরা তাদের কাছ থেকে কল্পনা করা শিখতে পারে। এই গুণটি কল্পনা ক্ষমতা বাড়ায়।
দাদু-দিদিমারা কোনো স্বার্থপরতা ছাড়াই সন্তান ও তাদের নাতিপুতিদের ভালোবাসেন। এই নিঃস্বার্থ অনুভূতি খুব কম মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। দাদা-ঠাকুরমারা তাদের নাতি-নাতনিদের কাছ থেকে কোনো প্রত্যাশা রাখেন না, বরং তাদের সঙ্গে থাকলেই তারা খুশি হন। শিশুরা তাদের দাদু-দিদিমার কাছ থেকে এই নিঃস্বার্থ মনোভাব শিখতে পারে।
দাদু-দিদিমাদের প্রায়ই নিজের জন্য খুব কম টাকা খরচ করতে দেখা যায়। শুধুমাত্র সেই জিনিসগুলির জন্য তারা অর্থ ব্যয় করে যা সত্যিই প্রয়োজন। বাবা-মা এটা করেন না। দাদু-ঠাকুমার বয়স তাদের অর্থকে মূল্য দিতে শেখায়। শিশুরা তাদের দাদু-ঠাকুমা কাছ থেকে অর্থের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব আরও ভালভাবে শিখতে পারে।
কেউ ছোট বা বড় নয় এবং সম্মান এবং ভালবাসা শুধুমাত্র মানুষকে নয়, পশুদেরও দেওয়া উচিত, এটি দাদু-ঠাকুমার কাছ থেকে শেখা যায়। তারা নাতি-নাতনিদের এই গুণগুলো শেখান।
শিশুরা দাদু-ঠাকুমার কাছ থেকে সততা শেখে। সততা একজন মানুষকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যায়।