8 DECEMBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
অনেক শিশু ছোটবেলা থেকেই আত্মবিশ্বাসী। এরা কারও সামনে কিছু বলতে বা করতে দ্বিধাবোধ করে না এবং এই শিশুরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। কিন্তু, এই আত্মবিশ্বাসের কারণ কী?
এই আত্মবিশ্বাসের কারণ শিশুর নিজের প্রতি বিশ্বাস। এই আত্মবিশ্বাসটি বাচ্চার অন্তরে থেকে আসে এবং কখনও কখনও বাবা-মায়ের কথাগুলি বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
আপনার সন্তানদের আত্মবিশ্বাসী করার জন্য, আপনি তাদের এমন ইতিবাচক কথা বলতে শেখাতে পারেন যা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
এই কথাগুলো নিজের কাছে বললে বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাসই বাড়বে না, যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহস যোগাবে।
"আমি যেমন আছি তেমনি ভালবাসার যোগ্য" এই লাইনটি শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে শেখানো যেতে পারে। বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলুন যে তারা মূল্যবান এবং ভালবাসার যোগ্য, তারা যেমনি হোক। তাদের স্ব-মূল্য বোঝার জন্য তাদের কারও বৈধতা বা সম্মতির প্রয়োজন নেই।
"আমি সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারি" যেকোনো অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি নিজের উপর বিশ্বাস করা। পিতামাতাদের অবশ্যই তাদের সন্তানদের শেখাতে হবে যে তারা যে কোনও সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারে। যখন কোও অসুবিধা দেখা দেয়, তখন শিশুকে নিজেকে বলতে হবে যে সে যে কোনও সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারে। শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়তে শুরু করবে।
"আমি সাহসী এবং আমি হাল ছেড়ে দিতে চাই না" যেকোনো পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য এবং সর্বদা নিজের সেরাটা দিতে, শিশুকে এই লাইনটি নিজের কাছে বলতে হবে। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস আসে। এ কারণে শিশু পরাজয় মেনে না নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে।
"আমার মতামত গুরুত্ব পায়" অনেক সময় শিশুরা কোনও কাজ করে না বা কারও কাছে তাদের মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করে কারণ তারা মনে করে যে তাদের কথার কোনও মূল্য নেই। কিন্তু, শিশুকে ব্যাখ্যা করা এবং শেখানো গুরুত্বপূর্ণ যে তার চিন্তাভাবনা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা যখন নিজের কাছে এটি বলতে শুরু করে, তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাদের মতামত প্রকাশ করতে শুরু করে।
"আমি নতুন জিনিস শিখতে পারি" বাচ্চাদের নিজেদেরকে বলতে হবে যে তারা নতুন জিনিস শিখতে পারে। এ কারণে শিশুরা কোনও কাজ শিখতে ভয় পায় না। এই লাইনটি বলার মাধ্যমে শিশুরা নতুন জিনিস শেখার আস্থা অর্জন করে।