5 DECEMBER, 2024

BY- Aajtak Bangla

২ ফোঁটা সর্ষের তেলেই ফণা তুলবে যৌবন, আজীবন সুখের রহস্যটা জানুন

ভারতীয় রান্নাঘরে অবশ্যই সর্ষের তেল পাওয়া যায় যা থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। এছাড়া সর্ষের তেলে আচার তৈরি করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়।

কিন্তু, আপনি কি জানেন যে শীতকালে শরীরে সর্ষের  তেল ব্যবহার করা হলে তা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এছাড়াও, এটি শীতকালে সৃষ্ট শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।

 এখানে জেনে নিন কী কী উপায়ে ত্বকে সর্ষের তেল লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

সর্ষের  তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পাওয়া যায় যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যায় যা ত্বককে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে এবং শীতে আপনার ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে।

ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বকের শুষ্কতা অনেক বেড়ে যায়, যার কারণে ত্বক প্রাণহীন দেখাতে শুরু করে। এমন অবস্থায় শরীরে সর্ষের তেল লাগালে তাৎক্ষণিক হাইড্রেশন পাওয়া যায় এবং শুষ্কতা কমে যায়। ঠান্ডা  আবহাওয়ায় সর্ষের তেল লাগালে ত্বকে ময়েশ্চারাইজড থাকে এবং আর্দ্রতা বজায় থাকে। 

যদি আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হয়, তাহলে আপনার শরীরে হালকা গরম সর্ষের তেল লাগান। এটি করলে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমে যায়। তার মানে সর্ষের তেল কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়।

সর্ষের তেলে রয়েছে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য আর্দ্রতা ধরে রাখে।

সর্ষের তেল সূর্যের তাপ এবং মরা চামড়া দূর করতেও সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এটি ত্বককে পরিষ্কার, কোমল এবং উজ্জ্বল করে তোলে।

শীতের মরসুমে ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সর্ষের তেল লাগালে ত্বকের সংক্রমণ কমানো যায় কারণ এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। শীতের মরসুমে ত্বকের যেকোনো ধরনের ইনফেকশন এড়াতে সর্ষের তেল লাগানো সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে।

শীতকালে শরীরে সর্ষের তেল লাগালে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ে এবং আপনার শরীর গরম হয়, যা ঠান্ডা লাগার অনুভূতি কমায়। আপনি চাইলে সর্ষের তেল সামান্য গরম করেও লাগাতে পারেন। এটি আরও বেশি উপকারী।

বয়স্ক ব্যক্তিরা ঠান্ডা আবহাওয়ায় জয়েন্ট এবং পেশীতে প্রচুর ব্যথা অনুভব করেন। এমন অবস্থায় সর্ষের তেল গরম করে মালিশ করলে জয়েন্টের ব্যথা, শক্ত হওয়া ও ফোলাভাব কমে যায়।