8 FEBRUARY, 2025

BY- Aajtak Bangla

ব্যায়াম-ডায়েট ছাড়াই ওজন কমাবে খিচুড়ি, বলছেন ডায়েটিশিয়ানরা

বেশিরভাগ মানুষ ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতা নিয়ে সমস্যায় পড়েন। স্থূলতা একটি ভিন্ন জিনিস এবং ওজন বৃদ্ধি একটি ভিন্ন জিনিস।

একজন ফিট ব্যক্তি ক্রমবর্ধমান ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিন্তিত এবং একজন মোটা ব্যক্তি নিজেকে স্লিম করার কথা ভাবতে থাকেন।

অনেকে খেয়ে ওজন বাড়ায় আবার কেউ কেউ জেনেটিক, যারা কম খেলেও মোটা হতে শুরু করে। আপনি যদি আপনার শরীরকে ফিট রাখতে চান তবে  স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি হালকা ব্যায়ামও করা উচিত। আপনি যদি শরীরের ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তাহলে খিচুড়ি খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এই ৮টি কারণে ওজন কমাতে খিচুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডায়েটিশিয়ান।

ডায়েটিশিয়ানের মতে, খিচুড়ি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। খিচড়ি খেলে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধার্ত বোধ হয় না।খিচুড়ি ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে খিচুড়ি মেদ বাড়াতে দেয় না।

খিচুড়িতে রয়েছে ফাইবারের গুণাগুণ। ফাইবার পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। শক্তিশালী পরিপাকতন্ত্রের কারণে খাবার দ্রুত হজম হয়। তাই ডায়েটিশিয়ানরা প্রতিদিন খিচুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

খিচুড়ি ডাল এবং চাল দিয়ে তৈরি করা হয়। ভাতে কার্বোহাইড্রেট এবং ডালে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে। খিচুড়ি খেলে মাংসপেশি মজবুত হয় এবং শরীরে পুষ্টির সুষম মিশ্রণ তৈরি হয়।

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বাড়া মানেই ওজন বেড়ে যাওয়া। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মানে রক্তে ধীরে ধীরে প্রবাহিত গ্লুকোজ। খিচুড়ির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। অর্থাৎ খিচুড়ি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

খিচুড়ি একটি কম চর্বিযুক্ত খাবার এবং এতে প্রায় কোনো কোলেস্টেরল নেই। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ মানে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। কারো হৃদরোগ থাকলে খিচুড়ি খেতে পারেন।

খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যে কারণে এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। খিচুড়ি অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

খিচুড়ি একটি নরম খাবার, তাই এটি হজম করা সহজ। এটি হজমের রোগ নিরাময় করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে না।

খিচুড়িতে উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিন যোগ করতে কাজ করে । তাই খিচড়ি খাওয়া উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।