BY- Aajtak Bangla

হাজার টাকার জ্যাকেট-কোট মাত্র এক-দেড়শো টাকায়, কলকাতায় কোথায়?

18 December 2023

r

কলকাতা শহরে শীতকালে বরফ না পড়লেও উত্তুরে হাওয়ার আনাগোনার ফলে এই সময় গরম জামাকাপড় পরা জরুরি হয়ে পড়ে।

অনেকেই ভয় পান শীতের পোশাক কিনতে গেলেই জলের মতো টাকা খরচ হয়ে যাবে।

কিন্তু এই শহরের আনাচেকানাচেই জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, টুপি, কোট, মোজা ইত্যাদি আরও নানা রকম শীতবস্ত্র পাওয়া যায় অল্প ব্যয়েই।

পার্কা, ক্যানম, ওয়াই ডব্লিউ সি-র মতো নামি বিদেশি ব্র্যান্ডের জ্যাকেট, কোট মাত্র দেড়শো টাকা! গড়িয়াহাটের ফুটপাথজুড়ে দেদার বিকোচ্ছে সেসব।

বিভিন্ন ব্লেজার, টপ, সোয়েটার, এমনকি আসল ফারের জ্যাকেটও রয়েছে। দাম দেড়শো থেকে পাঁচশো। 

বেশিরভাগ পোশাকই আসে আমেরিকা, চীন, দুই কোরিয়া আর ব্যাংকক থেকে। সব পোশাক প্রথমে ঢোকে গুজরাতে। সেখানে ধোলাই হয়। তারপর বস্তাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। 

ইউরোপের বহু খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ধনী মানুষ আছেন , যাঁরা বাবা -কাকা মারা যাওয়ার পর তাঁদের ব্যবহৃত জামা -কাপড় আর গায়ে দেন না৷ দান করেন গরিব মানুষের জন্য৷ তার পরিমাণ বিপুল৷ 

আবার , বন্যা , যুদ্ধ, ভূমিকম্প এমন নানা পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী থেকে ত্রাণসামগ্রী জড়ো হতে থাকে৷ তার অনেকটাই জাহাজপথে চলে আসে৷

এছাড়াও পুরনো কাটিংয়ের এবং ধুলো পড়া , ইঁদুরে কাটা কোটও অনেক ফ্যাক্টরি থেকে , শো-রুম থেকে জলের দরে মিলে যায়৷ সেগুলোই জায়গা পায় মরা সাহেবের কোটের দোকানে।

সারাবছরের তুলনায় শীতকালে এই ব্যবসার রমরমা শুরু হয়। বাঙালির মধ্যে কোট পরার একটা বাসনা রয়েছে। ব্র্যান্ডেড বিলিতি কোট হলে তো কথাই নেই। 

পকেটে রেস্ত নেই, অথচ ব্রান্ডপ্রীতি ষোলআনা যাদের, মূলত তারাই ক্রেতা। মহিলা ক্রেতার সংখ্যা বেশি।

কেনাকাটা করার জন্য গড়িয়াহাট চত্বরের মতো জায়গা এই শহরে আর নেই। এই অঞ্চলে কিন্তু বছরের একটা বিশেষ সময়ে শীতবস্ত্রের প্রভূত সম্ভারও মেলে। কার্ডিগান, জ্যাকেট বা কেতাদুরস্ত কোট, সবই একটু দরাদরি করতে পারলে পছন্দমাফিক আপনি পেয়ে যাবেন এখানে।

সারা বছর ধরেই উত্তর কলকাতার খান্নার মোড়ে সপ্তাহে দু’-তিন দিন বসে বিশাল বড় হাট। বছরের বিশেষ কিছু সময়ে এখানেও মনের মতো শীতবস্ত্র পাবেন।