BY- Aajtak Bangla
10 OCT, 2024
তাঁর শৈশব খুব একটা ভাল ছিল না, আসলে ১৯৪৮ সালে তাঁর বাবা-মা আলাদা হয়ে যান।
প্রাথমিক শিক্ষার পর, রতন টাটা উচ্চ শিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সেখান থেকে বি.আর্চ ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৬২ সালের শেষের দিকে তিনি চাকরি ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন।
রতন টাটা বিয়ে করেননি, তবে এমন নয় যে তিনি কখনও কারও প্রেমে পড়েননি। তিনি বলেন, প্রেম একবার নয় চারবার তাঁর জীবনের দরজায় কড়া নাড়লেও কঠিন সময়ের কারণে তাঁর সম্পর্ক বিয়ের পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি।
তিনি আমেরিকা থেকে ভারতে আসেন, কিন্তু তার বান্ধবী ভারতে আসতে চাননি। সেই সঙ্গে ভারত-চিন যুদ্ধও চলছিল। অবশেষে আমেরিকাতেই অন্য কাউকে বিয়ে করেন তাঁর বান্ধবী।
কর্মজীবন শুরু করেন তার পারিবারিক ব্যবসায়িক গ্রুপ টাটা দিয়ে। কিন্তু আমরা আপনাকে বলে রাখি যে রতন টাটা কোম্পানিতে একজন সাধারণ কর্মচারী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন যেখানে টাটা পরিবারের সদস্যরা মালিকের পদে ছিলেন।
টাটা স্টিলে কাজ করার পর, তিনি ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের লাগাম হাতে নেন এবং তারপরে টাটা কোম্পানিগুলিকে উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি ব্যবসা সম্প্রসারণে মনোযোগ দিতে শুরু করেন।
টাটা গ্রুপের লাগাম নেওয়ার পর, তিনি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হন এবং টাটা টি, টাটা মোটরস, টাটা স্টিলের মতো কোম্পানিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসেন।
আজ এসব কোম্পানির ব্যবসা অনেক বড় হয়েছে এবং এসব কোম্পানি লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে।
নয়ের এর দশকে ফোর্ড অটোমোবাইল সেক্টরে একটি বড় নাম ছিল, কিন্তু টাটা গ্রুপের কোম্পানি টাটা মোটরসের অবস্থা ভাল ছিল না এবং রতন টাটা গাড়ি বিভাগ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ফোর্ডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। কিন্তু ফোর্ডের চেয়ারম্যান বিল ফোর্ড চুক্তির সময় রতন টাটাকে ঠাট্টা করে অপমান করেছিলেন।
এর পরে, তিনি বিক্রির পরিকল্পনা বাতিল করেন এবং টাটা মোটরসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেন। মাত্র ৯ বছরের মধ্যে টেবিল ঘুরে যায় এবং ফোর্ডের দুটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড জাগুয়ার এবং ল্যান্ড রোভার কিনে বিল ফোর্ডকে মাথা নত করতে বাধ্য করেন।