24 April, 2024

BY- Aajtak Bangla

  এসিতে ঘুমোলে হানা দেয় এই ৫ কঠিন রোগ, কীভাবে শরীর থাকবে সুস্থ? টিপস

তাপপ্রবাহে এসির ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। তাপপ্রবাহ থেকে  সাধারণ মানুষ বাঁচার জন্য নানা উপায় খুঁজছে। এদের মধ্যে এসি ও কুলার অন্যতম।

তাপপ্রবাহ বাড়ার কারণে এয়ার কন্ডিশনার এখন শহরতলী ও গ্রামীণ এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে, তবে এর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিও আছে।

প্রচন্ড গরম থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এসি চালান। সারা রাত এসি চালিয়ে অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েন।

এসি চালু রেখে ঘুমালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে যাদের হাঁপানি বা অ্যালার্জির মতো বিদ্যমান শ্বাসকষ্ট আছে। ফলে কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে কফ হওয়া ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

এসি ইউনিটগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে অ্যালার্জির মতো সমস্যা হতে পারে, এটি শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলো বাড়িয়ে তোলে।

এজন্য এসির তাপমাত্রা একটি মাঝারি স্তরে সেট করতে হবে ও অ্যালার্জি কমাতে নিয়মিত এয়ার ফিল্টারগুলো পরিষ্কার বা প্রতিস্থাপন করতে হবে।

এসি চালু রেখে ঘরে ঘুমালে আর্দ্রতার মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে ত্বক ও চোখ শুষ্ক হতে পারে। ফলে শুষ্কতা, চুলকানি ও ফ্ল্যাকিনেস দেখা দেয়। একই সঙ্গে শুষ্ক বাতাসে দীর্ঘসময় এক্সপোজার হলে চোখে জ্বালা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।

শুষ্ক ত্বক ও চোখের সমস্যা উপশম করতে, ঘরে আর্দ্রতার মাত্রা বাড়ানোর জন্য একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।

সকালবেলা এসির কারণে শরীরে স্টিফনেস ও ব্যথা হয়। যদি আপনার সঙ্গে প্রতিদিন এটা ঘটতে থাকে তবে বুঝুন আপনার হাড় এসির নিম্ন তাপমাত্রা সহ্য করতে পারছে না এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে আপনার শরীরে ব্যথার একটি গুরুতর কারণ হয়ে উঠতে পারে।

সারাক্ষণ এসিতে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কারণ দীর্ঘক্ষণ ঠাণ্ডা লাগার ফলে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয় এবং এর কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

এসি-তে থাকা ধুলোবালি ও ময়লা নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস-এর মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। অতএব, এসি একবার চালিয়ে ঘর ঠান্ডা করে ফ্যান চালিয়ে ঘুমান রাতে। শরীর থাকবে সুস্থ।

 এসি চালিয়েও  সুস্থ থাকতে। রাতে ঘুমনোর সময় এসির তাপমাত্রা ২৬°c থেকে ২৮ °c রাখুন।

সারা রাত এসি চালাবেন না। ভোর ৪ টে নাগাদ এসি বন্ধ করে দিন। তারপর পাখা চালিয়ে দিতে পারেন।