15 October, 2024
BY- Aajtak Bangla
সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট স্বীকার করেছেন, তিনি অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডারে (Attention deficit hyperactivity disorder) ভুগছেন।
অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার হল একধরনের নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বা স্নায়ু সংক্রান্ত রোগ। বহু শিশুর এই শারীরিক সমস্যা থাকে। বড়দেরও হয়।
Lallantop-কে সাক্ষাত্কারে আলিয়া জানিয়েছেন, আমি খুব বয়স থেকেই আউট অফ জোনে থাকি। ছেলেবেলায় ক্লাসরুমেও সেরকমই করতাম। সম্প্রতি আমি সাইকোলজিক্যাল টেস্টকালাম। আার ADHD অনেকটা বেশি।
অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার কী?
এই ধরনের ডিসঅর্ডারে হাইপারঅ্যাক্টিভিটি দেখা যায়। অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা ও মনোযোগের অভাব হয়।
যাঁদের এই ধরনের রোগ রয়েছে, থেরাপিস্টের কথায়, 'আপনি যখন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়বেন, তার পিছনের বিজ্ঞানটি বুঝতে পারবেন।'
ADHD-এ মস্তিষ্কে কোনও ঘটনার স্মৃতি বেশি দিন স্থায়ী হয় না। ভুলে যাওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়ে যায়।
ADHD-এ আরও একটি উপসর্গ হল, টাইম ম্যানেজমেন্টের অভাব। অর্থাত্ কোনও একটি কাজের মাঝে দীর্ঘ সময় শুধুমাত্র ভেবে কাটানো, তারপর শেষ মুহর্তে তড়িঘড়ি।
হাইপারফোকাস আরও একটি উপসর্গ। কোনও একটি কাজে অতি মনোযোগ আরও একটি উপসর্গ এই রোগের। মানে বাকি সব কিছু ভুলে যাওয়া।
এই ধরনে রোগে দিবাস্বপ্নের প্রবণতা বাড়ে। অর্থাত্ বর্তমানে না থেকে অতিরঞ্জিত চিন্তা করার প্রবণতা।
অতি চিন্তা, উদ্বেগ,দুঃশ্চিন্তা, মানসিক চাপে এঁরা যে প্রস্তাবেই প্রথমে না করে দেয়। এছাড়া কোনও বিষয়ে অতি আবেগ দেখায়। নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।