9 July, 2024
BY- Aajtak Bangla
মাছে ভাতে বাঙালি আর বাঙালির কাছে মাছের রাজার তো আর কেউ নয়, সেই ইলিশ।
বর্ষা আসতে না আসতেই বাঙালি ইলিশমুখী। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হোক বা ইলশেগুড়ি, ইলিশের জন্য এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলা পাগল প্রাণ বাঙালি ভোজনরসিকরা।
তবে যোগান কম হওয়ায় এখনও ইলিশের দাম বেশ চড়া। সব সময় ভালো ইলিশও মেলে না।
ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে। খোকা থেকে বড় মাপের, বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে ইলিশও। মাছের যোগান আর বর্ষার ঘনঘটা বাড়লে যে সপ্তাহে দু-তিন ইলিশ পাতে পড়বেই এমন আশায় মন বাঁধছেন বহু বাঙালি। প্রতীকী ছবি।
কিন্তু জানেন কী দেদার ইলিশ খাওয়া মোটেই ভালো কাজ নয়, শরীরের পক্ষে তা মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
যারা সপ্তাহে দু-তিন দিন ইলিশ দিয়ে এক থালা ভাত সাবড়ে দেওয়ার প্ল্যান করছেন ইতিমধ্যে, তাঁদের জানা দরকার ইলিশ আদৌ কতটা উপকারী। বেশি খেলে কী হতে পারে।
সতর্ক করেছে একটি গবেষণা রিপোর্ট। বলা হচ্ছে ইলিশ বেশি খেলে বাসা বাঁধতে পারে ভয়ানক রোগ। নিয়মিত ইলিশভোজীদের তাই সাবধান হতে বলেছে ভারতের এই গবেষণা।
জানা গিয়েছে ইলিশ বেশি খাওয়া রোগ তৈরি করতে পারে শরীরে । ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অফ ইন্ডিয়ার (FSSAI) সতর্কবাণী, ইলিশ মাছ বেশি খেলে কিন্তু বিপদজনক।
১২০ রকমের সামুদ্রিক মাছকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে যাদের বেশি খেলে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই তালিকায় আরও মাছের সঙ্গে প্রথম দিকেই রয়েছে বাঙালির প্রিয় ইলিশও।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও এফএসএসআই এর অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে গোটা দেশে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার প্রবণতা গত কয়েক বছর ধরে অনেকটাই বেড়েছে। যা আগে অনেক কম ছিল।
সামুদ্রিক মাছের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন এই ধরনের কিছু মাছে হিস্টিডিন নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপস্থিতি মাত্রাতিরিক্ত বেশি আছে যা হিস্টামিন তৈরি করে মানুষের শরীরে বিষক্রিয়া ঘটায়।
যাদের হাই এলার্জি আছে তারা এই মাছ থেকে দূরে থাকুন এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। অ্যালার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়া এর (AANI) বলছে যাদের শ্বাসের সমস্যা রয়েছে তাদের এই সামুদ্রিক মাছগুলি খেলে গায়ে গোটা বেড়ানো, নাক দিয়ে জল, অবিরল হাঁচি, পেটে খিঁচ ধরা, গায়ে জ্বালা ভাব তৈরি হওয়া, ফোঁড়া হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে ।