20 Feb, 2025
BY- Aajtak Bangla
বহু প্রাচীন পুরাণ ও মহাকাব্যে উল্লেখ রয়েছে, নিঃসন্তান রাজাকে সন্তানের আশায় যজ্ঞে আহ্বান করা হতো, যেখানে দেবদূত পায়েস প্রদান করতেন।
অনেক গবেষক মনে করেন, এই পায়েস আদতে এক ধরনের প্রতীক—যা তখনকার বিশেষ প্রজনন পদ্ধতি বা ওষুধ নির্দেশ করে।
পৌরাণিক কাহিনিতে ঔরস শব্দের উল্লেখ থাকলেও, তা সরাসরি শারীরিক তরল নয়; বরং ঋষির আশীর্বাদ বা প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপকরণের ইঙ্গিত হতে পারে।
সেই যুগে আয়ুর্বেদে এমন ভেষজ ছিল যা প্রজননশক্তি বাড়াতে সাহায্য করত। ধারণা করা হয়, পায়েসে এমন ভেষজ মেশানো থাকত।
বীর্যবান ঋষি বলতে শারীরিক অর্থে নয়; বরং জ্ঞানী ও প্রজনন সংক্রান্ত সমাধানদাতা বোঝানো হয়েছে, যারা ভেষজ ও আধ্যাত্মিক চিকিৎসায় পারদর্শী ছিলেন।
আজকের দিনে IVF বা কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিকে ওই সময়ের দেবদূতের পায়েস হিসেবে দেখা যেতে পারে, যেখানে বিজ্ঞান প্রাকৃতিক সীমা অতিক্রম করে।
বিশ্বাসের শক্তি প্রাচীন কালে প্রবল ছিল। রাজা-রানিরা দেবতাদের আশীর্বাদ মনে করে পায়েস খেলে মানসিকভাবে প্রভাবিত হতেন, যা সন্তান লাভে ভূমিকা রাখত।
যজ্ঞের ধোঁয়ায় নির্দিষ্ট ভেষজ পোড়ালে মানসিক প্রশান্তি ও শারীরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেত, যা সন্তানধারণে সহায়ক হতে পারত।
যজ্ঞের ধোঁয়ায় নির্দিষ্ট ভেষজ পোড়ালে মানসিক প্রশান্তি ও শারীরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেত, যা সন্তানধারণে সহায়ক হতে পারত।
পৌরাণিক পায়েস কাহিনি আক্ষরিক অর্থে নয়; বরং প্রাচীন কালের প্রজনন বিজ্ঞান, মানসিক প্রশান্তি ও ভেষজ চিকিৎসার এক নিপুণ সমন্বয়। আধুনিক যুগে, এটি বিজ্ঞান আর বিশ্বাসের মেলবন্ধনের প্রতীক।