ঘাড়ে বা গলার পেছন দিকে গাঢ় কালো দাগ অনেককেই বিব্রত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে। একে বলে অ্যাকান্থসিস নিগ্রিক্যান্স।
এ রকম দাগ শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন বগল, কুঁচকি, নাভি, কপাল ছাড়াও কনুই, হাঁটু, মলদ্বার ইত্যাদি স্থানেও দেখা দিতে পারে।
এর মুখ্য কারণ শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোনের আধিক্য, যখন ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না বা রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায়। অধিক ইনসুলিন রিসেপ্টরের ওপর কাজ করে ত্বকের কিছু কোষের বৃদ্ধি ঘটিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি করে বলে ধারণা করা হয়।
অধিক ওজন বা স্থূলতার কারণে শরীরে যেসব জটিলতা সৃষ্টি হয়, তার উপসর্গও দেখা দিতে পারে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের আধিক্যের কারণে লিভারের সমস্যা।
এককথায় মেটাবলিক সিনড্রোম, নারীর শরীরে অবাঞ্ছিত লোম ও অনিয়মিত মাসিক (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম), পুরুষাঙ্গ ছোট ও বিলম্বিত বয়ঃসন্ধি, শ্বাসকষ্ট, হাড় ও মাংসপেশির ব্যথা ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
বংশগত কারণে হলে জন্মের পর থেকেই দেখা দিতে পারে এ রোগ। সমস্যা যত ধীরে প্রকাশিত হয়, তা তত কম ক্ষতিকারক।
চিকিৎসা মূলত কারণভিত্তিক। কারণ দূর করতে পারলে রোগ ভালো হয়ে যাবে, অন্যথায় বাইরে থেকে ত্বকের পরিচর্যা করে ফল হবে না।
স্থূলতার কারণে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই ওজন কমাতে হবে।
ওজন কম থাকা অবস্থায় ও অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আগেই সচেতন হতে হবে।