BY- Aajtak Bangla
05 May, 2024
ফলে শিশুদের চেহারা, গায়ের রং, ওজন, উচ্চতা ইত্যাদি দিয়ে খোঁটা দিলে তাদের হীনম্মন্যতা সৃষ্টি হয়।
তাই বাহ্যিক গড়ন নিয়ে কোনো রকম বাজে কথা শিশুদের বলা যাবে না।
সামাজিক দক্ষতা নিয়ে যেসব শিশু কটু কথা শোনে, পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে সোশ্যাল অ্যাংজাইটি দেখা দেয়।
পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে শিশুদের সারাক্ষণ কথা শোনালে, অন্যদের সঙ্গে বারবার তুলনা করলে তার মধ্যে প্রচণ্ড মানসিক চাপ এবং অবসাদ সৃষ্টি হয়।
পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপের কারণে তার মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা এবং অ্যাংজাইটি বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা দেখা দিতে পারে।
শিশুদের ব্যক্তিগত আগ্রহের বিষয় নিয়ে গালমন্দ বা ঠাট্টা করা যাবে না।
শিশুরা বিভিন্নভাবে তাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। কান্নাকাটি করা, ভয় প্রকাশ করা, উত্তেজিত হওয়া নিয়ে যদি তাদেরকে খেপানো হয়, তাহলে তারা আর নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতে পারে না।
আবেগের স্বাস্থ্যকর বহিঃপ্রকাশ মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সন্তানদের সক্ষম করে তুলতে অভিভাবকদের উচিত তাদের নিজের কাজ নিজে করতে শেখানো। নিজের জুতো পরা, নিজের জল নিজে বহন করা, নিজের খাবার খাওয়া, নিজের ঘর এবং আলমারি পরিষ্কার করা, এই সমস্ত কাজ শিশুর ধীরে ধীরে করা উচিত।
একটি আট বছর বয়সী শিশুকে এই সব কাজ করতে শেখা উচিত যাতে সে দায়িত্বশীল হয় এবং আত্মবিশ্বাসী হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুকে কাজ না করে তাকে নিজের কাজ নিজে করতে শেখান, এতে তার জীবনযাত্রার দক্ষতা গড়ে উঠবে। তাকে সাজানোর বদলে পোশাক পরতে শেখান। এতে করে শিশু জীবনে টিকে থাকতে শিখবে এবং তার ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে।