26 SEPTEMBER, 2023
BY- Aajtak Bangla
রাজনীতি এবং কূটনীতি ভারত-বাংলাদেশকে পৃথক করেছে বটে। কিন্তু বাঙালির মনে প্রাণে পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
একটা সময় যাঁরা নিজেদের ভিটে মাটি ছেড়ে এসে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস শুরু করতে বাধ্য হন আজ তাঁরা প্রায় সকলেই প্রতিষ্ঠিত। তাই সুযোগ পেলে একবার নিজেদের পুর্বপুরুষের ভিটে দেখতে যাওয়ার বাসনা কম বেশি সকলের মনেই নিশ্চয়ই রয়েছে।
সেই কারণেই এপার বাংলা থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ওপার বাংলায় যান সেই বাসনা পূরণ করতে।
আর বাংলাদেশে গেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন শাপলার রাজ্য-সাতলা গ্রাম।
এ এক ফুলের রাজ্যে, যেখানে চারদিকে শাপলা ফুলের সমারোহ। বরিশাল উপজেলা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে বিশাল এক বিলের মধ্যে দেখা মিলবে এই ফুলের রাজ্যের।
বিলের যত ভেতরে যাবেন, ততই চোখে পরবে শাপলা ফুলের গালিচা। এ যেন এক শাপলার রাজ্য। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামে অবস্থিত এই রাজ্য।
সাতলা গ্রামের বিলের আগাছা আর লতা-পাতায় ঘেরা হাজারো শাপলা চোখ জুড়াবে পর্যটকদের।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামে রয়েছে বিশাল বিল। এই বিল স্থানীয়দের কাছে শাপলার বিল নামে পরিচিত।
এখানে কবে থেকে শাপলা ফোটা শুরু হয়েছে তা কারো জানা নেই। কিন্তু গ্রামের বৃদ্ধদের কাছ থেকে জানা যায় জন্মের পর থেকেই তারা এই বিলে শাপলা ফুটতে দেখেন।
স্থানীয়রা প্রায় ৮০% শাপলার চাষ করে থাকেন। তিন ধরনের শাপলার দেখা মিলবে এই বিলে লাল, সাদা এবং বেগুনি। তবে লাল শাপলাই বেশি দেখা যায়।
সাতলার প্রায় ১০ হাজার একর জলাভূমিতে শাপলার চাষ করা হয়। শাপলা গ্রাম থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শাপলা ফুল সরবরাহ করা হয়।
সারাবছরই কম বেশি শাপলা ফুল ফুটে থাকে এই বিলে। মার্চ থেকে শুরু করে অক্টোবর পর্যন্ত শাপলার সমারোহ থাকে। আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে বেশি শাপলা ফুটে থাকে।
শাপলা দেখতে চাইলে অবশ্যই খুব ভোরে যাবেন। সবচেয়ে ভালো হয় এক রাত গ্রামে থেকে সকালে শাপলাবিল দেখতে গেলে।
সাতলার শাপলা গ্রামে যেতে চাইলে প্রথমেই বরিশাল যেতে হবে। ঢাকা থেকে বরিশালে সড়কপথে কিংবা নৌপথে যেতে হবে।