25 SEPTEMBER 2024
BY- Aajtak Bangla
বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে আসছে বাংলাদেশি ইলিশ।
বুধবার ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দেয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক।পাঠানো হচ্ছে ২৪২০ মেট্রিকটন ইলিশ।
এই অনুমতির মেয়াদ ১২ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে। পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ইলিশ হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে এসে পৌঁছবে।
এছাড়া শিয়ালদহ, পাতিপুকুর ও শিলিগুড়ি পাইকারি বাজারে মাছ আসবে। এই সমস্ত মাছ বাজার থেকে বিভিন্ন খুচরো মার্কেটে মাছ চলে যাবে।
শুক্রবার সকাল থেকে খুচরো বাজারে পাওয়া যাবে বাংলাদেশের রুপোলি শস্য।তবে মাছের দাম চড়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বহু অপেক্ষার পর পদ্মার ইলিশ বাজারে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু অনেকেই সঠিক ইলিশ চিনতে ভুল করেন। ঠকে যান। জেনে নিন কীভাবে চিনবেন পদ্মার ইলিশ।
সাগরে যেসব ইলিশ ধরা হয় তার গায়ে লাল দাগ থাকে। অন্যদিকে নদীর ইলিশ অনেক বেশি চকচকে রুপোলি রঙের হয়।
উপর থেকে দেখলে সাগরে ধরা ইলিশের ঘাড়ের অংশ চিকন দেখায়। নদীতে ধরা ইলিশের ঘাড়ের কাছের অংশ তুলনামূলক মোটা হয়। এভাবে খেয়াল করে কিনতে পারলে সুস্বাদু ইলিশ খেতে পারবেন।
স্রোতের বিপরীতে সমুদ্র থেকে নদীতে প্রবেশ করে ইলিশ। এটিও মাছের শরীরে চর্বি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। নদীতে প্রবেশের আগে সাগর থেকেই ইলিশ ধরা হলে এর স্বাদ কমে যায়।
সাগর থেকে নদীতে প্রবেশের পর ৩০ থেকে ৪০ কিমি পর্যন্ত এগোতে দিতে হবে ইলিশের ঝাঁককে। এতেই মাছে ফেরে পুরনো স্বাদ।
পদ্মা আর মেঘনার ইলিশের রঙ উজ্জ্বল রুপোলি। অন্যদিকে হিমায়িত সমুদ্রের ইলিশের রঙ হয় অনুজ্জ্বল, ফ্যাকাসে ধরনের।
টাটকা ইলিশ শক্ত থাকে। টাটকা ইলিশ হাত দিয়ে উঁচু করে ধরলেও আকারের পরিবর্তন হবে না। অন্যদিকে হিমায়িত বাসি ইলিশ নরম হয়। হাতে দিয়ে পেটের কাছে ধরলেই মাথা ও লেজা নিচের দিকে হেলে পড়বে।
পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ অনেকটা গোলাকার। অর্থাৎ মাছের পেটের অংশ হয় মোটা আর চওড়া, আর সমুদ্রের ইলিশের পেটের দিকটা সরু হয়।
ইলিশ কেনার আগে অবশ্যই মাছের কান দেখে নিতে হবে। টাটকা ইলিশের কান হয় টকটকে লাল রঙের। আর হিমায়িত বাসি ইলিশ হলে কান হবে বাদামি বা কালচে রঙের।
টাটকা ইলিশের চোখ স্বচ্ছ আর উজ্জ্বল। হিমঘরে রাখা ইলিশের চোখ ঘোলাটে ও ভেতরের দিকে ঢুকে থাকে।