11 JUNE, 2025
BY- Aajtak Bangla
মাছের প্রতি বাঙালির ভালোবাসা অটুট। তা সে ঝোল হোক বা ঝাল কিংবা ভাজা। রুই, কাতলা এসবই বাঙালির প্রিয়। সেরকমই এক মাছ হল বাটা।
বাটা অত্যন্ত সহজে হজম হয়ে যায়। এতে ফ্যাটের পরিমাণ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই। এতে ক্যালসিয়াম রয়েছে প্রচুর আর তার সঙ্গে ফসফরাস এবং আয়োডিন। সব মিলিয়ে এই মাছ আমাদের শরীরে বেশ কিছু প্রভাব ফেলতে পারে।
এটি খেলে কী হয়? নিয়মিত এই মাছ যদি খান, তাহলে পরের বার খাওয়ার আগে এই লেখা পড়ে নিতেই হবে।
মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই পাওয়া যায় এই মাছ। ফলে বহু বাড়িতেই এই মাছ নিয়মিত আনা হয়।
বাটামাছ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এর বেশ কিছু উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত এই মাছ খেলে রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা মানুষ উপকার পেতে পারেন।
এই মাছ হৃদযন্ত্র ভাল রাখে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। মস্তিষ্কে রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। বর্তমানে হার্টের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে বাটা মাছ পাতে রাখলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।
নার্ভের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বাটামাছ। এটি নিয়মিত খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
প্রাণীজ আমিষের অনেকাংশই পূরণ করে মাছ। মাছে প্রচুর পরিমানে আমিষ রয়েছে তাছাড়া প্রোটিন, শর্করা, ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে ।
বাটা মাছ বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। এই মাছ খেলে আমাদের শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ হবে এবং দেহ সুস্থ ও সবল থাকবে।
এই মাছে রয়েছে প্রোটিন। প্রোটিনের প্রধান কাজ হল মানবদেহের বৃদ্ধি, কোষগঠন ও ক্ষয়পূরণ। তাছাড়া শরীরে নতুন কোষ সৃষ্টিতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঘুমের মান উন্নত করতে পারে এই মাছের বেশ কিছু উপাদান। ফলে এই মাছ নিয়মিত খেলে অনিদ্রার সমস্যা কমে যেতে পারে। বয়স্কদের অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। তাঁরা বাটা মাছ নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রেও এই মাছ সাহায্য করতে পারে। এটি উদ্বেগ জাতীয় সমস্যা কমায়। তাছাড়া এর কিছু উপাদান নার্ভের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এছাড়াও ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই মাছ। ফলে এটি নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায়।
হাইপারঅ্যাকটিভ শিশুদের এই মাছের বেশ কিছু উপাদান খুব ভালোভাবে কাজ করে। এই ধরনের শিশুদের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির দরকার। তারা এই মাছ খেলে উপকার পেতে পারে। তাদের পুষ্টির চাহিদা পুরো মাত্রায় পূরণ করতে পারে বাটা মাছের বেশ কিছু উপাদান।
শেষে মনে রাখতে হবে, সব মাছ সকলের ক্ষেত্রে সমান ভাবে কাজ করে না। বাটা মাছ খেলে আপনার কোনও সমস্যা হবে কি না, কিংবা খেলে আপনি আদৌ কোনও উপকার পাবেন না, তা সঠিক ভাবে বলে দিতে পারবেন আপনার চিকিৎসক বা কোনও পুষ্টিবিদই। তাই দরকারে আগে তাঁদের পরামর্শ নিন।