4 JAN, 2025
BY- Aajtak Bangla
বর্তমানে সারাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি এমন একটি রোগ যা মানুষের শরীরকে ফাঁপা করে দেয়। শরীর সম্পূর্ণ শুষ্ক ও দুর্বল হয়ে পড়ে। এতটাই দুর্বল যে ব্যক্তির শরীর নিজের ক্ষতও সারাতে পারে না।
এটি এমন একটি রোগ যার স্থায়ী কোনও চিকিৎসা নেই। এটি শুধুমাত্র জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেজপাতা খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেজপাতা কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়।
তেজপাতা খেলে শরীরে ইনসুলিন গ্রহণ এবং গ্লুকোজ বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয়। এর পাশাপাশি এতে পলিফেনল পাওয়া যায়। এটি গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এটি রক্তে শর্করার রোগীদের ইনসুলিনের ক্রমবর্ধমান এবং হ্রাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতেও কাজ করে। তেজপাতার মধ্যে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি পাওয়া যায়।
চিকিৎসকরা তেজপাতার চা পান করার পরামর্শ দেন। এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের সুগন্ধ, যা স্বাদ বাড়ায়। তেজপাতা খেলে হজম শক্তির উন্নতি ঘটে।
তেজপাতা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। এটি কিডনির স্বাস্থ্যে সাহায্য করে। উপরন্তু, তেজপাতার মধ্যে পাওয়া জৈব যৌগগুলি পেট খারাপ এবং বিরক্তিকর অন্ত্রের সিন্ড্রোম কমাতে সাহায্য করে। এই পাতাগুলি হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
এতে উপস্থিত রুটিন এবং ক্যাফেইক অ্যাসিড হার্টের জন্য উপকারী। এই দুটি উপাদানই তেজপাতার মধ্যে পাওয়া যায়। এগুলো শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যার কারণে আপনি হার্ট সংক্রান্ত রোগ থেকে বাঁচতে পারেন।
তেজপাতা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। স্যুপ হিসেবে খেতে পারেন। আবার গোটা পাতা বা ছোট টুকরা রান্নায় দিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে হলুদ ও তেজপাতা পিষে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এটি খাওয়ার পরেও আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।