1 June, 2024
BY- Aajtak Bangla
গ্রীষ্ম শুরু হলেই অনেকে আমের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আম শুধু আপনার স্বাদেরই যত্ন নেয় না এর নিয়মিত ব্যবহারে আপনি আপনার মুখের উজ্জ্বলতাও পারেন।
আমে উপস্থিত অ্যান্টি এজিং বৈশিষ্ট্যগুলি বলিরেখা এবং ফাইন লাইনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক আমের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু আশ্চর্যজনক সৌন্দর্য উপকারিতা এবং এটি ব্যবহারের সঠিক উপায়।
অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ ছাড়াও আমে অ্যান্টি-এজিং গুণ, কপার, ফোলেট, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই ভালো পরিমাণে রয়েছে। যা ত্বকের পুষ্টি জোগাতে এবং সুস্থ ও তরুণ রাখতে সাহায্য করে।
কোলাজেন বাড়ায়- আম খেলে শরীর প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পায়। ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। যার কারণে ত্বক টানটান থাকে। ত্বককে টানটান ও মজবুত করতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রোটিন।
ত্বক টানটান করার পাশাপাশি বলিরেখা রোধেও আম সাহায্য করতে পারে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং এ ত্বকের জন্য শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যা তাড়াতাড়ি বার্ধক্য রোধ করে।
আমে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে যা চোখের চারপাশের কালো দাগ ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। আমের পাল্প ত্বকে লাগালে ত্বকের টোন হালকা হতে পারে।
আমে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আমের পাল্প মুখে লাগিয়ে প্রদাহ ও ব্রণ কমাতে পারেন।
আপনি আমের পাল্পের পেস্ট তৈরি করে আপনার ফেসপ্যাকের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এছাড়া ফেসপ্যাক বা মাস্কে আমের রস মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
এছাড়া এটাও মাথায় রাখতে হবে যে আম খাওয়ার আগে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে।