23 OCTOBER, 2024
BY- Aajtak Bangla
কালীপুজোর ঠিক আগের দিন ভূত চতুর্দশী. সেদিন বাঙালি বাড়িতে চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে ৷
নিয়ম অনুযায়ী চোদ্দ শাক খাওয়া হলেও আসলে সেই চোদ্দটি শাকের খাদ্যগুণ খুব বেশি।
এই চোদ্দ শাকের মধ্যে রয়েছে বোতো, হিঞ্চে, কচু, সর্ষে, পালং, লাল নটে, সাদা নটে, পুঁই শাক, গিমা, কলমি, শুষনি, মেথি, মূলো ও পাটশাক।
ভিটামিনে ভরপুর এই শাকগুলির প্রতিটির ক্ষেত্রেই খাদ্যগুণ বজায় থাকে ৷ কোন কোন শাকে কী কী খাদ্যগুণ থাকে দেখে নেওয়া যাক ৷
সর্ষে ও কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে ৷ শীত শুরুর আগে যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ৷ শীতকালে খেলে শরীরে ভাল কোলেস্টেরল বাড়ে ৷ সর্ষে শাকে ভিটামিন ডি থাকার ফলে হাড় মজবুত হয়।
কলমি শাক পেট পরিষ্কার থাকে। শরীরে জলের পরিমাণের মধ্যে সামাঞ্জস্য বজায় রাখে ৷ সদ্য মা হওয়া মহিলাদের জন্য কলমি শাক বিশেষ করে উপকারী ৷
পুঁই শাকে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে ৷ এই ভিটামিনের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা থাকে বিশেষ করে ৷ শরীর সুস্থ রাখতে পুঁই শাক খুব ভাল ৷
পালং শাক পেটে গেলেই কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয় অতি সহজেই ৷ এতে এ, বি, সি, আয়রনের গুণ বজায় রাখে ৷
মেথি শাক ব্লাডসুগারের জন্য অত্যন্ত ভাল, এমনকি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে সহজই। কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে ৷
লাল শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন শরীরের ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব দূর করে সহজেই ৷ এতে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে ভরপুর৷
কচি মূলো শাক ঘিয়ের সঙ্গে খেলে বাতের ব্যথা শরীর থেকে দূর করে ৷ এই শাক ভাল করে সেদ্ধ যেন হয় দেখে নিতে হবে ৷ কফ ও পিত্তের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ৷
মুখের রুচি ফেরাতে বেতো শাকের জুড়ি মেলাভার ৷ হজম শক্তিও বৃদ্ধি হয়ে থাকে বেতো শাকের কেরামতিতে।
হিঞ্চে শাকের স্বাদ তেতো হলেও ফলের দিক থেকে অত্যন্ত মিষ্টি ৷ এই শাক শরীর ঠান্ডা রাখে ৷ আয়রনের অভাবও দূর করে থাকে ম্যাজিকের মত ৷