19 JUNE, 2024
BY- Aajtak Bangla
কলকাতা শহরের পথে-ঘাটে, অলিতে-গলিতে আপনি ফুচকা স্টলের দেখা পাবেনই। মশলা, আলুমাখা এবং তেঁতুলজলের এই সুন্দর সমাহারই ফুচকাকে অন্য কিছুর চেয়ে আলাদা করে দিয়েছে।
যদি কলকাতার কয়েকটি জায়গার ফুচকা চেখে না দেখেন, তবে এ শহরের মূল আবেদন অনেকটাই অধরা থেকে যাবে। তাই আমরা এই প্রতিবেদনে কলকাতার কিছু বিখ্যাত ফুচকার দোকানের হদিশ দেব।
আলিপুরে প্রবেশের ফুচকা: এই এলাকায় সবচেয়ে ভাল ফুচকার টেস্ট নিতে হলে আপনাকে প্রবেশ পানিপুরি ওয়ালার কাছে যেতে হবে। আলিপুরের উডল্যান্ড রোডে প্রবেশ করুন। এই লোকটি ১৭ রকমের ফুচকা বিক্রি করেন। তার মধ্যে রয়েছে চকোলেট ফুচকা, ঘুঘনি, দই এবং সেজওয়ান ফুচকা।
লেক কালীবাড়িতে দুর্গা পণ্ডিতের ফুচকা: লেক কালীবাড়ির বাইরের ফুচকাওয়ালারা, যেমন দুর্গা পণ্ডিতের ফুচকা কলকাতা শহরের সেরাদের মধ্যে অন্যতম। এই দোকানের বিখ্যাত হওয়ার কারণ শুধু জল ফুচকা নয়। এদের দই ফুচকা এবং আলু দম ফুচকার স্বাদও মুখে লেগে থাকার মতো।
বড় বাজার থানার সামনের ফুচকাওয়ালা: বড় বাজার থানার কাছে বসে থাকা ফুচকাওয়ালার থেকে কখনও ফুচকা খেয়েছেন। খেলে আর শেষ করতে ইচ্ছে হবে না। এখানে ফুচকা প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে। এখানকার হিং ফুচকা খুব বিখ্যাত।
ঢাকুরিয়া দক্ষিণাপনে রাজেন্দ্রর ফুচকা: ঢাকুরিয়ার এই শপিং কমপ্লেক্সের বাইরে রাজেন্দ্র বলে এক ফুচকাওয়ালা বসেন। অনেকেই বলেন, এই রাজেন্দ্র কলকাতার সেরা আলুর দম ফুচকা বানান। তবে এখানে ফুচকার সব আইটেমই অর্থাৎ জল ফুচকা, দই ফুচকা, মিষ্টি ফুচকা সবই পাওয়া যায়।
নিউ আলিপুরের বিজয় প্রকাশের ফুচকা: বিজয় প্রকাশের ফুচকা অনন্য স্বাদ এবং কম দামের জন্য বিখ্যাত। যদিও এখানকার ফুচকার আকার শহরের অন্য যে কোনও জায়গার থেকে একটু বড়।
রাসেল পার্কে নানকু রামের ফুচকা: এখানকার নানকু রামের ফুচকাও বেশ বিখ্যাত, যদিও তাদের রেসিপি সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। এখানকার ফুচকায় আপনি পুদিনা এবং হিং-এর অনন্য স্বাদ অনুভব করতে পারেন। একবার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছা করবেই। নানকু রামের ইউএসপি হল তিনি রেডিমেড মশলা কেনেন না। তিনি বাড়িতেই মশলা তৈরি করেন।
বিবেকানন্দ পার্কে দিলীপদার ফুচকা: এখানকার দিলীপ দা-র ফুচকা এতই জনপ্রিয় যে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ খেতে আসেন ও বাড়ির জন্য নিয়ে যান। ফুচকা ছাড়াও দিলীপদার চুরমুর ও রাগদা চাটও খুব জনপ্রিয়। তবে দিলীপ দা-র সেরা আইটেম হল দই পুচকা, যা মিষ্টি চাটনি দিয়ে তৈরি।
বরদান মার্কেটে কৃষ্ণকান্ত শর্মার ফুচকা: ধনে, মৌরি, জিরে এবং কাসুরি মেথির মতো মশলার স্বাদ এখানকার ফুচকার স্বাদকে একেবারেই আলাদা করে তোলে। বরদান মার্কেটের বাইরে ফুচকার পসরা নিয়ে বসেন।
চক্রবেরিয়ার উপেন্দ্রর ফুচকা: চক্রবেরিয়ায় ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের এই ব্যবসায়ী ফুচকায় আলুর পরিবর্তে কাঁচা কলা ব্যবহার করেন। সেখানে বসবাসকারী বৃহৎ জৈন সম্প্রদায়ের জন্ইয তিনি আলুর পরিবর্তে কাঁচা কলা ব্যবহার করেন বলে জানা যায়। তবে এই ফুচকারও স্বাদ অতুলনীয়।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে রাম গুপ্তার ফুচকা: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বাইরে ক্রেতার অপেক্ষায় থাকেন অনেক ফুচকাওয়ালা। তবে এখানকার রাম গুপ্তার স্টলটিতে সবচেয়ে বেশি ভিড় লেগে থাকে। ঘরে তৈরি তেঁতুলের পেস্ট এবং মশলার স্বতন্ত্র খাট্টা-মিঠা স্বাদের জন্য এই স্টলের ফুচকা বেশ জনপ্রিয়।