BY- Aajtak Bangla
4 MARCH, 2025
রমজান মাসে রোজার ইফতারে হালিম এর বিশেষ কদর রয়েছে। সারা দিন রোজা রাখার পর প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে হালিম। হাই প্রোটিন হওয়ার কারণে শরীরে এনার্জি জোগাতে দারুণ উপকারী হালিম। তাই রমজান মাসে এই খাবারটির চাহিদা তুঙ্গে থাকে।
কলকাতা মানেই বিরিয়ানির সঙ্গে প্রেম। তবে হালিমও খুব বেশি পিছিয়ে থাকবে না। আমরা এই প্রতিবেদনে কলকাতার সেরা কয়েকটি জায়গার খোঁজ দেব। যেখানে আপনি মরসুমের সেরা হালিম ট্রাই করতে পারবেন।
আরসালান (Arsalan): আরসালান হল কলকাতার একটি সুপরিচিত রেস্তরাঁ চেইন, যা তার বিরিয়ানির জন্য বিখ্যাত। তবে এটি রমজান মাসে সুস্বাদু হালিমও পরিবেশন করে। এদের হালিমের জনপ্রিয়তা এতটাই যে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ প্লেট বিক্রি হয়। বলা হয় যে এদের হালিমে সাত ধরনের ডাল ব্যবহার করা হয়। পার্ক সার্কাস, কসবা এবং বালিগঞ্জ সহ সারা শহরে রেস্তরাঁটির বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে।
জিশান (Zeeshan Restaurant): জিশান পার্ক সার্কাসের একটি জনপ্রিয় রেস্তরাঁ। এখানে প্রায় সারা বছর সুস্বাদু হালিম পাওয়া যায়। যদি কোনও করণে আপনি আরসালানের হালিম মিস করে থাকেন, তাহলে বেকবাগানের দিকে একটু হেঁটে জিশানের হালিম ট্রাই করে দেখুন। গ্রাহকদের কাছে এদের হালিম সর্বকালের প্রিয়।
শিরাজ গোল্ডেন রেস্তরাঁ (Shiraz Golden Restaurant): মল্লিক বাজার ক্রসিং দিয়ে যাওয়ার সময় আপনি এই জায়গাটিকে উপেক্ষা করতে পারবেন না। রমজানের চেতনায় বেঁচে থাকার জন্য এই জায়গাটি উৎসবের চেতনায় সাজানো হয় এবং এখানে শাহী হালিম বা ঐতিহ্যবাহী ইরানি হালিম বা হায়দরাবাদি হালিম পাওয়া যায়।
আমিনিয়া (Aminia): আমিনিয়া হল কলকাতার একটি বিখ্যাত রেস্তরাঁ চেইন। এরাও মোঘলাই খাবারের জন্য পরিচিত। পার্ক সার্কাস, এসপ্ল্যানেড এবং নিউ আলিপুর সহ শহর জুড়ে রেস্তরাঁটির বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে। আমিনিয়াও রমজান মাসে সুস্বাদু হালিম পরিবেশন করে।
রয়্যাল ইন্ডিয়ান হোটেল (Royal Indian Hotel): রয়্যাল ইন্ডিয়ান হোটেল হল কলকাতার একটি কিংবদন্তি রেস্তরাঁ। যারা এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে খাঁটি মোঘলাই খাবার পরিবেশন করে আসছে।
হাজি সাহেব (Haji Saheb): হাজি সাহেব রেস্তরাঁর দুটি আউটলেটই অত্যন্ত সুস্বাদু হালিম পরিবেশন করে। তবে, এদের হালিমের দাম একটু বেশি।
সুফিয়া (Sufia): সুফিয়া হল জাকারিয়া স্ট্রিটে (Zakaria Street) অবস্থিত একটি ছোট রেস্তরাঁ, যা কলকাতার অন্যতম সেরা হালিম পরিবেশন করে। রেস্তরাঁটি তার সুস্বাদু এবং মশলাদার হালিমের জন্য পরিচিত।
সাবির (Sabir’s Hotel): চাঁদনি চকের এই রেস্তরাঁটিকে বলা হয় রেজালার পথপ্রদর্শক। সাবিরে রমজানের সময় হালিম পাওয়া যায়। তবে এখানে শুধু এক ধরনের হালিম পরিবেশন করা হয়। সেটা হল মাটন হালিম।