6 June 23
BY- Aajtak Bangla
এমন কয়েকটি জিনিস রয়েছে, যা মূলত বাঙালিকে পরিচিতি দেয়। তার মধ্যে একটি হল মিষ্টি দই।
আজ আমরা কলকাতা শহরের কিছু কিংবদন্তি মিষ্টির দোকানের হদিশ দেব। যেখানে গেলে আপনি পেয়ে যাবেন সেরা মিষ্টি দই।
হিন্দুস্থান সুইটস: ক্ষীর কদম, মালাই চমচম এবং কাজু বরফির মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ছাড়াও এই দোকানের দইও বিখ্যাত। এখানকার ক্রিমি দইয়ের স্বাদে মজে আছে বাঙালি।
নব কৃষ্ণ গুঁই, বউবাজার: এই ১৮০ বছরের পুরনো দোকানটির পরিচিতি দইয়ের জন্য। এই দোকানের দইয়ের স্বাদ অতুলনীয়। কোন কৃত্রিম রং বা গন্ধ ব্যবহার করা হয় না।
গাঙ্গুরাম: বাংলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানগুলির মধ্যে একটি। এখানকার মিষ্টি দইয়ের স্বাদ মুখে লেগে থাকে।
অমৃত সুইটস, ফারিয়াপুকুর: শহরের প্রবীণ লোকজনের কাছে এই দোকানের দই আজও প্রিয়। শহরের সেরা দইয়ের ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা অমৃত মিষ্টির নামই করবে।
মিঠাই সুইট শপ, পার্ক সার্কাস: ৫০ বছরের বেশি পুরনো এই দোকানের দইও স্বাদে অতুলনীয়। এই দোকানটি সাদা মিষ্টি দইয়ের জন্য পরিচিত। এই দোকানেই আম দই আসল হিমসাগর আম থেকে তৈরি।
যাদব চন্দ্র দাস, কলেজ স্ট্রিট: কলেজ স্ট্রিটের এই ছোট্ট দোকানটি মিষ্টি দইয়ের জন্য জনপ্রিয় বহুকাল থেকেই। এই দোকানের দই পছন্দ করতেন সত্যজিৎ রায়, সুচিত্রা সেন এবং কিশোর কুমারও।
পুঁটিরাম, কলেজ স্ট্রিট: বই কেনা আর পুঁটিরামে সুস্বাদু দই খাওয়া, কলেজ স্ট্রিটের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। ১৭০ বছরের পুরনো এই দোকানের দইয়ের স্বাদে মজে আছে বাঙালি।
যুগলস, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ: ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দোকানটি তাদের আশ্চর্যজনক মিষ্টি ছাড়াও মিষ্টি দইয়ের জন্যও বিখ্যাত। চিনি দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোটানোর পর দুধ প্রাকৃতিক লালচে আভা এবং মাখনের মতো চেহারা নেয়।
যশোদা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, তালতলা: তালতলার এই দোকানটি ৬ দশক ধরে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে পুরোপুরি সাদা মিষ্টি দই পরিবেশন করে আসছে বাঙালিকে। এখানে সাদা মিষ্টি দই ছাড়া অন্য কোনও দই তৈরি করা হয় না।
সুরেশ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, ঢাকুরিয়া: দইয়ের স্বাদ নিয়ে উত্তর কলকাতার সঙ্গে সমানে টক্কর দিতে পারে ঢাকুরিয়ার সুরেশ মিষ্ঠান্ন ভাণ্ডার। দক্ষিণে সেরা মিষ্টি দই বিক্রি হয় এই দোকান থেকেই।