04 Dec, 2024
BY- Aajtak Bangla
গর্ভধারণ নিয়ে আমাদের সমাজে এখনো অনেক ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত আছে। যেমন, রাতের দ্বিতীয় প্রহরে স্বামী–স্ত্রীর সহবাস করা ভালো কিংবা মাসিকের পর বিরতি দিয়ে সহবাস করা ভালো—এমন আরও অনেক কিছু।
গর্ভধারণের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা অবশ্যই জরুরি। তবে যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁরা যখন সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করবেন, তখন অতিরিক্ত ব্যায়াম করা যাবে না।
জীবন থেকে কমাতে হবে দুশ্চিন্তাও। কারণ, মানসিক চাপ নারীর শরীরে ডিম্বাণু তৈরিতে বিঘ্ন ঘটায়। তাই গর্ভধারণ করা নিয়েও চাপ নেওয়া যাবে না এবং সহবাসের সময়ও থাকতে হবে দুশ্চিন্তামুক্ত।
সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনার শুরুতেই কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। যেমন রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, রক্তের হিমোগ্লোবিন ইত্যাদি।
গর্ভধারণের পরিকল্পনার আগেই কারও ওজন বেশি থাকলে তা কমিয়ে নেওয়া ভালো। কারণ, অতিরিক্ত ওজন গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ থেকে একল্যামশিয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, ডায়াবেটিসের সমস্যাও তৈরি করতে পারে।
গর্ভধারণের সবচেয়ে ভালো সময় ধরা হয় ২৫ বছরের মধ্যে। সেটা সম্ভব না হলে অন্তত ৩০ বছরের আগে প্রথম সন্তান নিয়ে নেওয়া উচিত।
কোনো দম্পতি যদি ছয় মাস থেকে এক বছর স্বাভাবিক উপায়ে চেষ্টা করেও গর্ভধারণ করতে না পারেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সে সময় স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
ন্তান নেওয়ার পরিকল্পনার শুরু থেকেই যেকোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথার ওষুধের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিছুই খাওয়া যাবে না।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, ক্ষতিকর রাসায়নিকযুক্ত খাবার ও বাইরের খাবার চলবে না, তার বদলে তাজা সবজি ও আমিষযুক্ত খাবার খেতে হবে।
আপনি যদি আগে গর্ভপাতের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই যৌনমিলনের আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি আপনার গর্ভে যমজ বা ততোধিক ভ্রূণ (যমজ এবং ট্রিপলেট) থাকে, তাহলে এই অবস্থায় সহবাস করলে গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিতে পারে।