BY- Aajtak Bangla
v
20 March, 2025
বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মগুরু অনুকূল ঠাকুর। দুই বাংলায় তাঁর লক্ষ লক্ষ ভক্ত রয়েছেন।
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জন্ম ১৮৮৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, অধুনা বাংলাদেশের পাবনা জেলার হিমাইতপুর গ্রামে। তাঁর আদি নাম ছিল অনুকূলচন্দ্র চক্রবর্তী।
অনুকূলচন্দ্র কৈশোরেই আধ্যাত্মিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হন। তিনি ভক্তদের সহজ, সরল এবং মানবিক জীবনের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি নিবেদিত থাকার শিক্ষা দিতেন।
১৯১০ সালে তিনি "সৎসঙ্গ" নামে একটি আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠন ব্যক্তিগত উন্নতি, নৈতিক মূল্যবোধ এবং আধ্যাত্মিক চেতনা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিশাল আশ্রম রয়েছে, যা তাঁর ভক্তদের কাছে এক তীর্থস্থান। দেশ-বিদেশের ভক্তরা এখানে এসে প্রার্থনা ও আরাধনা করেন।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের প্রচুর শিষ্য তথা ভক্ত আছেন, যাঁরা প্রতিদিন তাঁর নাম জপ করেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বহু মানুষ আজও মানবিকতা এবং আধ্যাত্মিক চেতনার চর্চা করেন।
তিনি মানুষকে পরোপকারী হতে শেখাতেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর বিশ্বাস করতেন, ধর্ম মানে কেবল আচার-অনুষ্ঠান নয়, বরং মানবসেবা এবং আত্মশুদ্ধির পথ।
অনুকূলচন্দ্রের শিক্ষা ভক্তদের মধ্যে ঐক্য এবং পারস্পরিক সহমর্মিতার বার্তা দেয়। তাঁর আদর্শ সামাজিক সম্প্রীতির অন্যতম ভিত্তি হয়ে আছে।
শ্রী শ্রী ঠাকুরের ভক্তরা শুধুমাত্র ভারতেই নন, বিদেশেও ছড়িয়ে আছেন। বাংলাদেশ, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তাঁর আদর্শ প্রচারিত হয়।
যদি সাধনায় উন্নতি লাভ করতে চাও, তবে কপটতা ত্যাগ কর।
অশিক্ষিতকে শিক্ষা দেওয়া বরং অনেক সোজা। কুশিক্ষিতের শিক্ষক হওয়া কঠিন।
কপট ব্যক্তি অন্যের কাছে সুখ্যাতির আশায় নিজেকে নিজেই প্রবঞ্চনা করে। অল্প বিশ্বাসের দরুণ অন্যের দান হতেও প্রবঞ্চিত হয়।