9 JUNE, 2025
BY- Aajtak Bangla
মাছ খেতে বেশির ভাগ বাঙালিই ভালোবাসেন। আর সেই কারণেই কমবেশি রোজই কোনও না কোনও মাছ রান্না হয় বাঙালি বাড়িতে।
এর মধ্যে যেমন থাকে বড় মাছ, তেমনই থাক ছোট মাছ। এই ছোট মাছের তালিকায় আছে পাবদা মাছ।
সর্ষে বাটা দিয়ে ঝাল হোক বা সাদামাটা কালো জিরে কাঁচালঙ্কার পাতলা ঝোল, পাবদা মাছ পাতে পেলে খুশি না হয়ে পারেন না বেশিরভাগ বাঙালি। সুস্বাদু বলেই এই মাছ বাজারে উঠলে হাত নিশপিশ করে কেনার জন্য। কিন্তু আমরা কী আদৌ জানি এই মাছ শরীরের জন্য উপকারী কিনা?
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, পাবদা মাছে কী কী উপাদান আছে। একটি পাবদা মাছে থাকে খনিজ পদার্থ ১.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন বা আমিষ ১৮.১ গ্রাম, চর্বি ২.৪ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৩.১ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৫ মিলিগ্রাম, লোহ বা আয়রন ১.০ মিলিগ্রাম এবং শক্তি ১০৬ কিলোক্যালারি।
পাবদা অত্যন্ত সহজে হজম হয়ে যায়। এতে ফ্যাটের পরিমাণ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই। এতে ক্যালসিয়াম রয়েছে প্রচুর আর তার সঙ্গে ফসফরাস এবং আয়োডিন। সব মিলিয়ে এই মাছ আমাদের শরীরে বেশ কিছু প্রভাব ফেলতে পারে।
যাঁরা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই মাছ খুব উপকারী হতে পারে। এতে থাকা আয়রন তাঁদের খুবই কাজে লাগতে পারে। বয়স্কদের জন্যও এই মাছ খুব উপকারী হতে পারে।
এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের গঠন মজবুত করতে কাজে লাগে। নিয়মিত এই মাছ খেলে তাই শিশুদের উপকার হতে পারে। যাঁরা অস্টিয়োপোরেসিসের মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও কাজে লাগতে পারে পাবদা মাছ।
পাবদা মাছের বেশ কিছু উপাদান পেশির গড়নের সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। তাই শিশুদের তো বটেই, যাঁদের ওজন খুব কম— তাঁরাও এই মাছ খেলে উপকার পাবেন।
এই মাছ নিয়মিত খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমতে পারে। পাবদা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, আয়রন ও জিঙ্কে সমৃদ্ধ। ফলে এটি হার্টের নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তবে সব কিছুর আগে মনে রাখা উচিত, সব মাছ সকলের শরীরে এক রকম ভাবে প্রভাব ফেলে না। কোনও মাছই হয়তো কারও জন্য খুব ভালো, আবার কারও ক্ষেত্রে তা সমস্যার।
তাই এসব বিষয়ে ভালো করে জেনে নিন চিকিৎসকের থেকে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নিন, কোন মাছ আপনি খাবেন, কোনটি খাবেন না।