BY- Aajtak Bangla
28 April, 2024
প্রেম আর বিয়ে এক নয়! প্রেম করাকালীন রাত জেগে কথা বলা, আর বিয়ের পর সেই মানুষটির সঙ্গে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
রসিয়ে গল্প করা, সারাদিনের সুখ-দুঃখ ফোনালাপে শেয়ার করার স্মৃতি শততই সুখের। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যাঁরা বিয়ের পর একছাদের তলায় থাকতে গিয়ে কিংবা একসঙ্গে রাত কাটাতে গিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন।
সঙ্গীর পাশে ঘুমিয়েও নানা কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেই যায়। বহু দম্পতি প্রতিরাতে ঠিক মতো ঘুমতে পারে না। আর তার জন্যই দম্পতিরা একটি দুর্দান্ত এবং অনন্য পন্থা খুঁজে বের করেছেন। তা হল ‘স্লিপ ডিভোর্স’।
ভাবছেন তো, সে আবার কী? অনেকে আবার হয়তো ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর মধ্যেই রয়েছে। যারা জানেন না তারা অবশ্য একক্ষণে ভ্রু কুঁচকে ফেলেছেন। স্লিপ ডিভোর্স মানে কিন্তু সঙ্গীকে পুরোপুরি ডিভোর্স দিয়ে দেওয়া নয়। তাহলে এ আবার কেমন ধরনের ডিভোর্স?
এটা রোজকার সংসারে অনেকটা শান্তির সহাবস্থানের মতো। ধরুন, আপনার সঙ্গীর ভয়ংকর নাক ডাকার অভ্যেস। কিংবা গায়ে পা তুলে দেওয়া বা বেশি জায়গা নিয়ে আপনাকে কোণঠাসা করে দেওয়ার মতো আরও অনেক ধরণের বদঅভ্যেস রয়েছে। তাই বলে তো আর ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে যাওয়া যায় না! তাই এক্ষেত্রে সমস্যার অন্যতম সমাধান ‘স্লিপ ডিভোর্স’।
এই ডিভোর্স হচ্ছে, কোনও দম্পতি একছাদের তলায় থেকেও একসঙ্গে শুতে যান না। বরং আলাদা ঘরে ঘুমোন। কেউ বা আবার একই ঘরে আলাদা শোওয়ার ব্যবস্থা করেন। একেই বলা হয় ‘স্লিপ ডিভোর্স’।
এই পন্থা কখনও কখনও কয়েক দিনের জন্য হয়। আবার বিয়ের বয়স খানিক বাড়লেও এই পন্থা অনেকে অবলম্বন করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আলাদা ঘরে ঘুমোলে যে সম্পর্ক ঠিক থাকবে না, এরকম ধারণা ভ্রান্ত।
অনেক সময়েই দেখা যায়, সঙ্গীর সঙ্গে স্লিপ সাইকেল বা ঘুমনোর সময় বা ধরণ না মিললেই একে-অপরকে এড়িয়ে চলা শুরু করেন। যাতে সেই মান-অভিমান বা তিক্ততা যাতে বেশিদূর না গড়ায় সেই জন্যই মনোবিদরা বর্তমানে ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর নিদান দিয়ে থাকেন।
ঘুমের ব্যাঘাতজনিত কারণে মানুষের মধ্যে হতাশা, ক্লান্তি, অবসাদ, অস্থিরতা ইত্যাদি ভর করে। এর প্রভাব পড়ে বৈবাহিক সম্পর্কের ওপর। প্রভাব পড়ে পুরো সংসারে। তাই সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভালো ঘুম হওয়া খুবই দরকার। এ ক্ষেত্রে স্লিপ ডিভোর্স খুবই চমৎকার একটি সমাধান।
নিরবচ্ছিন্ন ও আরামদায়ক ঘুম এনে দিতে পারে স্লিপ ডিভোর্স। এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খু্বই উপকারি।
তবে সাবধান! এর কারণে কিন্তু শারীরিক দূরত্ব আসতে পারে। তাতে সম্পর্কের চার্মও কমে যাওয়ার চান্স থাকে। সেক্ষেত্রে সম্পর্কের দিকে নজর দিন। সঙ্গীর উপর আস্থা বা বিশ্বাস এক্ষেত্রে খুব জররি। সঙ্গীকে আরও বেশি করে সময় দিন বা ভালোবাসুন।
কারণ ব্যস্ত শিডিউলে সারাদিনে এই ঘুমের সময়টাই একে-অপরের কাছাকাছি আসা যায়। সেখানেও যদি বাঁধার সৃষ্টি হয়, তাহলে কিন্তু সাবধান হোন এখনই। প্রয়োজনে মনোবিদের পরামর্শ নিন।