4 February, 2024
BY- Aajtak Bangla
ক্যান্সারের নাম শুনলেই আমরা সকলেই মারাত্মক ভয় পেয়ে যাই। তবে সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু হলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১. রোগের অবস্থান, ধরন ও স্টেজ সম্পর্কে জানতে হবে। পাশাপাশি এই পর্যায় নির্ধারণের কী ধরনের চিকিৎসা হতে পারে তাও পরিষ্কার জানতে হবে।
২. ক্যান্সার রোগীকে সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, হরমোন থেরাপি ইত্যাদি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে রাখতে হবে।
৩. চিকিৎসাব্যবস্থার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চিকিৎসকের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে কী করা যেতে পারে, আলোচনা করা উচিত।
৪. রোগীর চিকিৎসার জন্য সম্ভাব্য যে পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ, তা পুরোপুরিভাবে রোগীর ও রোগীর স্বজনদের জানার অধিকার রয়েছে।
৫. চিকিৎসা চলাকালে রোগীর চলাফেরা বা জীবনযাত্রা কেমন হবে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা নেওয়া দরকার।
৬. রোগীর খাবারদাবার কেমন হবে, সে ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৭. চিকিৎসা চলাকালীন ও তার পরবর্তী সময়ে রোগীকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলিংয়ের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।
৮. চিকিৎসা–পরবর্তী ফলোআপ যেকোনো ক্যান্সার রোগীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরও এই ফলোআপ চলতে থাকবে।
৯. ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোগীর অর্থনৈতিক বিষয়টি বিবেচনায় রেখে চিকিৎসার পরিকল্পনা করা উচিত।
১০. ক্যান্সার চিকিৎসার প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবারের মানুষজনকে সম্পৃক্ত করা, তাঁদের তথ্য দেওয়া, এ ব্যাপারে শিক্ষিত করা দরকার।