22 JAN, 2025
BY- Aajtak Bangla
নির্দিষ্ট পাত্রে রান্না করা খাবার খেলে ফুসফুস, কোলন, মূত্রাশয় এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। উদ্বেগের বিষয় হল প্রায় সব রান্নাঘরের ভিতরেই এই বাসনপত্র থাকে।
গরম খাবার তাদের ভিতরে রাখলে বিষাক্ত কণা এবং রাসায়নিক পদার্থ গলে যায়, যা খাবারের সঙ্গে শরীরের ভিতরে চলে যায়।
প্লাস্টিকের কুকওয়্যার এবং পিটিএফই লেপযুক্ত নন-স্টিক পাত্রে খাবার রান্না করা উচিত নয়। তার উপরে বিপজ্জনক রাসায়নিক এবং প্লাস্টিকের স্তর রয়েছে। এর ক্ষুদ্র কণা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে প্রবেশ করে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ও ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫ গ্রাম প্লাস্টিক কণা খাদ্য, বাতাস এবং জলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এত প্লাস্টিক দিয়ে একটি ক্রেডিট কার্ড তৈরি হয়ে যাবে। এক বছরে এই পরিমাণ ২৬০ গ্রাম অর্থাৎ ৫২টি ক্রেডিট কার্ডের প্লাস্টিকের সমান।
এই প্লাস্টিকের পাত্রগুলি ক্যান্সার তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে পুরনো, আঁচড়ে যাওয়া বা ভাঙা প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। প্লাস্টিকের জলের বোতলও ব্যবহার করবেন না।
প্লাস্টিকের পাত্র থেকে প্রতি বছর ৫০০০ টুকরো মাইক্রো প্লাস্টিক পরিবারের খাবারে প্রবেশ করে। কালো প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করাও এই ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো কার্বন ব্ল্যাক দিয়ে তৈরি।
মাইক্রো প্লাস্টিক অন্ত্রের শ্লেষ্মা স্তরের অবনতি ঘটায়, যা টিউমারের বিকাশ ঘটাতে পারে। এটি অন্ত্রের কোষগুলিকে হত্যা করে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটি অন্ত্রের ইমিউন সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়।
বাতাসে মাইক্রোপ্লাস্টিক নিঃশ্বাসে নিলে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। এই কণাগুলি ফুসফুসের টিস্যুর ক্ষতি করে, যা এখানেও দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হতে পারে। শেষ পর্যন্ত, এটি কোষ এবং তাদের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করে ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলিতে হরমোন ব্যাহতকারী রাসায়নিক থাকে যা স্তনের কোষগুলিকে পরিবর্তন করে এবং এই বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। শরীরে এই কণার প্রবেশ এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের মধ্যে একটি সম্পর্কও দেখা গেছে।