21 AUGUST, 2024

BY- Aajtak Bangla

খরচা নেই, বাড়ির গামলাতেই হবে কেজি কেজি ক্যাপসিকাম; চাষের পদ্ধতি

এই বর্ষায় সবজির দাম খুব চড়ে যায়। পুজো পর্যন্ত বাজারে আনাজ-সবজির দাম অনেক বেশি থাকে। অনেক সবজির মধ্যে একটি হল ক্যাপসিকাম। বছরভর ক্যাপসিকামের দামও বেশি থাকে।

এই চড়া দাম এড়ানোর একমাত্র উপায় হল বাড়ির বারান্দাতেই চাষ করে নিন ক্যাপসিকাম। যখন ইচ্ছে ক্যাপসিকাম খান, এক পয়সাও খরচা না করে।

যে কোনও নার্সারি থেকে ভাল মানের ক্যাপসিকাম বীজ কিনে আনুন। এরপর যে কোনও টব বা গামলায় চাষ করতে পারেন।

ক্যাপসিকাম চাষের জন্য ভাল মাটি হল বেলে-দোআঁশ। এতে জৈব সার দিয়ে, সব মিশিয়ে কিছুক্ষণ রোদে রাখুন, যাতে মাটিতে উপস্থিত আর্দ্রতা ও পোকামাকড় দূর হয়।

পাত্রে বীজ লাগানোর আগে ২৪ ঘণ্টা হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মাটির ভিতরে ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি গভীরে বীজ পুঁতে দিন। বীজ রোপণের পর উপরে গোবর সার দিন। তারপর এক থেকে দুই মগ জল দিন। 

বীজ অঙ্কুরিত না হওয়া পর্যন্ত পাত্রটিকে শক্তিশালী সূর্যালোকে রাখবেন না। যতক্ষণ না গাছটি ছোট হয়, দিনে মাত্র একবার জল দিন কারণ খুব বেশি জল যোগ করলে বীজের ক্ষতি হতে পারে।

প্রতি ২০ দিনের ব্যবধানে ক্যাপসিকাম গাছে জৈব সার যোগ করুন। এ ছাড়া পোকামাকড় যাতে গাছে ঢুকতে না পারে সেজন্য গাছে প্রাকৃতিক কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। গাছে একটা কাঠের লাঠি লাগিয়ে রাখবেন।

ক্যাপসিকাম চাষ করতে হলে মাটির pH মান ৬ হতে হবে। যেখানে ক্যাপসিকাম গাছ ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। 

ক্যাপসিকাম গাছ লাগানোর ৭৫ দিন পর উৎপাদন শুরু করে। তারপর যত খুশি তত খান।