23 SEPTEMBER 2024
BY- Aajtak Bangla
কাতলা মাছ কমবেশি আমরা সকলেই খাই। অন্যান্য মাছের তুলনায় কাতলা মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুনে ভরা।
কাতলা মাছের উপকারিতা অনেক। এই মাছ বায়ু, পিত্ত ও কফ কমায় এবং শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাতলা মাছে প্রোটিন পাওয়া যায় ১৭.৫ গ্রাম, ফ্যাট ২.০, খনিজ ১.৫ গ্রাম, ফাইবার ১.২ গ্রাম, শর্করা ২.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫১০ মি. গ্রাম, ফসফরাস ২১০ মি.গ্রাম, আয়রন ০.৯ মি.গ্রাম।
ভিটামিন জাতীয় উপাদানের মধ্যে ০.৮ মি.গ্রাম নায়াসিন। ১০০ গ্রাম কাতলা মাছ থেকে ১০৫ ক্যালরি খাদ্যশক্তি মেলে।
বড়ো মাপের কাতলা মাছের পেটি দিয়ে ভাত খেলে আহা, কি তার স্বাদ! সেসব নাহয় ঠিক আছে, তবে নিয়মিত ওই পেটি খাওয়া কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়।
কারণ বড়ো মাছের পেটিতে অনেকখানি ফ্যাট থাকে যা কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। সেই কারণে চিকিৎসকরা এটি না খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে মাঝারি আকারের কাতলা মাছে আশঙ্কার কিছু নেই।
ছোট বাচ্চা দের ক্ষেত্রে কাতলা মাছ খাওয়ানোর ফলে দ্রুত বৃদ্ধি অর্থাৎ লম্বা হতে থাকবে। যারা জিম করে তাদের ক্ষেত্রে কাতলা মাছ প্রোটিনের যোগান দিতে দারুন ভূমিকা পালন করে।
কাতলা মাছের পটাশিয়াম থাকার ফলে পেশির শক্তি এবং টোন ধরে রাখতে দারুন ভূমিকা পালন করে। কাতলা মাছ আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশে দারুন ভূমিকা পালন করে।
কাতলা মাছে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড এবং পাইরিডক্সিক, একজন গর্ভবতী মা যদি প্রতিদিন কাতলা মাছ খায় তাহলে তার নিউরাল টিউব ডিসঅডার কখনোই হবে না। বাচ্চার স্নায়ুতন্ত্র এবং মস্তিষ্ক হবে সুগঠিত। পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের অ্যানিমিয়া রোগ হতে বাধা সৃষ্টি করে কাতলা মাছ।
চর্মরোগ দূর করতে কাতলা মাছ দারুন ভূমিকা পালন করে। কাতলা মাছের ভিটামিন এ থাকার কারণে চোখের সুস্থতা, ক্যান্সার, একজিমা প্রতিরোধ করে এবং ত্বক সুন্দর করতে দারুন ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন ডিও আপনার হার মজবুত করতে সাহায্য করবে পাশাপাশি হার গঠন করে। কাতলা মাছের জিঙ্ক থাকার ফলে আমাদের ইমিউনিটি বুস্ট করে থাকে।
এই কাতলা মাছের ইংরেজি হল Catla, যেহেতু এই মাছটি দক্ষিণ এশিয়ায় পাওয়া যায় তাই একে South Asian Carp-ও বলা হয়।