BY- Aajtak Bangla
2 JUNE, 2024
চৈতন্য মহাপ্রভু ছিলেন ভারতবর্ষে আবির্ভূত এক বহু লোকপ্রিয় বৈষ্ণব সন্ন্যাসী ও ধর্মগুরু মহাপুরুষ এবং ষোড়শ শতাব্দীর বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য ছিলেন শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় উল্লিখিত দর্শনের ভিত্তিতে ভক্তিযোগ ভাগবত দর্শনের বিশিষ্ট প্রবক্তা ও প্রচারক।
তাঁর কিছু কথা মেনে চললে আপনার জীবনের দর্শনটাই বদলে যেতে পারে। জেনে নিন সেগুলি।
পৃথিবীতে মানুষ এসেছে প্রেমধর্মকে সকলের মধ্যে বিলিয়ে দেবার জন্য। প্রেমধর্ম ছাড়া সব কিছুই বৃথা।
জীবে প্রেমের মাধ্যমেই আসল অভীষ্টপূর্ণ হয়। সকলের প্রতি ভালবাসা প্রদান না করলে কখনA আমরা লক্ষ্যে পৌছোতে পারব না।
মানুষে মানুষে তুচ্ছ ভেদাভেদ দূর করতে হবে। মানুষ এই জগতে ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব, সে কথা মনে রাখতে হবে।
তৃণের চেয়েও নীচ হয়ে বৃক্ষের মতো সহিঝুর হয়ে আত্মসন্মানিত হবার অভিলাষমাত্র না রেখে এবং অপর সকল জীবের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে সর্বদা যিনি হরিনাম সংকীর্তন করেন , তিনিই প্রকৃত বৈষ্ণব।
আমাকে সন্ন্যাসী বা সাধক বা অবতার-__কিছুই ভেব না। আমাকে তুমি সামান্য এক কৃষ্ণানুরাগী বলেই জেনো।
কলিকালে ভক্তি ছাড়া পথ নেই। 'ব্রহ্ম” শব্দের অর্থ হল যড়শ্বর্যপূর্ণ ভগবান। তাকে নির্বিশেষ বললে তার পূর্ণতায় ক্ষতি হয়।
শ্রীকৃষ্ণ হলেন পরমেশ্বর, তার বিগ্রহ সচ্চিদানন্দময়। তিনি হলেন! অনাদি, তিনি সকলের আদি। তিনি সমস্ত কারণের মূল।
সবসময় যাঁর মুখে কৃষ্ণনাম বা যিনি নিরস্তর কৃষ্ণনাম যপ করেন তিনি বৈষ্ণব শ্রেষ্ঠ। তাঁর চরণ বন্দনা করবে।
শ্রীকৃষের প্রধান তিনটি শক্তি - চিৎশক্তি, জীবশক্তি এবং মায়াশক্তি। অনন্ত শক্তি শ্রীকৃষ্ণের।
প্রেমধর্ম ছাড়া সব কিছুই বৃথা।