02 May , 2024
BY- Aajtak Bangla
প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের সঠিকভাবে লালন-পালন করা, তাদের যত্ন নেওয়া এবং তাদের স্বভাব খারাপ হতে না দেওয়া।
চাণক্য নীতির দ্বিতীয় অধ্যায়ের দশম শ্লোকে লেখা আছে, জ্ঞানী ব্যক্তিদের উচিত তাদের পুত্র-কন্যাদের বহু প্রকারের ভালো গুণে সুসজ্জিত করা। কারণ সন্তান শেষ বয়সে হাতের লাঠি হয়।
শৈশবে শিশুদের যে শিক্ষা দেওয়া হয়, তাদের জীবনও সেভাবেই গড়ে ওঠে। তাই পিতামাতার কর্তব্য তাদেরকে এমন পথে পরিচালিত করা যাতে বিনয় গড়ে ওঠে।
যে বাবা-মায়েরা সন্তানদের শিক্ষিত করে না তারা সন্তানের শত্রু হন। কারণ একজন নিরক্ষর শিশু শিক্রিতদের দলে খাপ খায় না, তাকে সর্বদা তুচ্ছ করা হয়।
এটা ঠিক যে শিশুদের ভালবাসা দেওয়া উচিত, কিন্তু অতিরিক্ত ভালবাসাও শিশুদের জন্য ভালো নয়।
ভালবাসার কারণে, বাবা-মায়েরা সন্তানের অনেক দোষ এড়িয়ে যান। তাই শিশুরা কোনও ভুল কাজ করলে আগে থেকেই তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা উচিত, তা থেকে দূরে রাখা উচিত।
শিশু যখন কিছু ভুল করবে তখন তা উপেক্ষা করা এবং লাঞ্ছিত করা ঠিক নয়। শিশুকে শাসনও করতে হবে।
অপরাধের জন্য তার শাস্তিও হওয়া উচিত যাতে সে সঠিক এবং ভুল বুঝতে পারে।
বাবা-মায়েরা যদি সন্তানের সামনে সারাক্ষণ ঝগড়া, ঝামেলা করেন, পরিবারের সকল সদস্যকে সম্মান না করেন, তবে সন্তান একটা সময়ে আপনারই সঙ্গে সেই কাজ করবে।
বুদ্ধির উন্মেষ ঘটাতে ছোটবেলা থেকেই প্রতিটি শিশুর মন ঘষা মাজা করা জরুরি।