18 FEBRUARY, 2025
BY- Aajtak Bangla
চাণক্য নীতিশাস্ত্রে মানুষের জীবন সম্পর্কিত নানা দিক আলোচনা করেছেন।
বিশেষত পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আচার্য চাণক্য বলেছেন, একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দাম্পত্য জীবনের জন্য কিছু বিষয় গোপন রাখা প্রয়োজন।
যদিও স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক এবং সুখ-দুঃখের সঙ্গী, তবুও কিছু বিষয় রয়েছে যা তারা একে অপরের কাছে কখনোই প্রকাশ করবে না।
চাণক্যের মতে, পুরুষদের নিজেদের দুর্বলতা কখনোই স্ত্রীর কাছে প্রকাশ করা উচিত নয়। স্ত্রীর কাছে দুর্বলতা প্রকাশ করলে, তারা তা নিজেদের সুবিধায় ব্যবহার করতে পারেন, যা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাসের সৃষ্টি করতে পারে। দুর্বলতা গোপন রাখার মাধ্যমে সম্পর্কটি আরও দৃঢ় এবং সুরক্ষিত থাকে।
কোনও পুরুষ যদি অপমানিত হন, তবে তার স্ত্রীর কাছে তা প্রকাশ করা উচিত নয়। মহিলারা প্রায়ই তাদের স্বামীর অপমানের কথা বারবার মনে করিয়ে দেন, যা সম্পর্কের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চাণক্য বলেছেন, এই ধরনের বিষয় গোপন রাখা উচিত, যাতে সম্পর্কের সৌহার্দ্য বজায় থাকে।
যে দান গোপনে করা হয়, তার মূল্যই বেশি। তবে যদি পুরুষ নিজের দানের কথা স্ত্রীর কাছে বলে দেন, তাহলে তা সম্পর্কের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে। স্ত্রীর দানের খরচ নিয়ে অভিযোগ করা বা একে কেন্দ্র করে অসন্তুষ্টি দেখা দিতে পারে। অতএব, দান বিষয়টি ব্যক্তিগত ও গোপন রাখা উচিত।
স্বামীর উপার্জনও তার স্ত্রীর কাছে কখনও বলা উচিত নয়, কারণ সে যদি স্বামীর উপার্জন জানে, তাহলে তার অধিকার দাবি করতে পারে এবং সংসারের খরচ কমানোর চেষ্টা করতে পারে। এতে সংসারের প্রয়োজনীয় খরচে প্রভাব পড়তে পারে, যা সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি করবে।
স্ত্রীদের সাধারণত তাদের জীবনে কোনও না কোনও ক্রাশ থাকে। ছেলেদের ক্ষেত্রেও এটা হতে পারে। যদিও তারা এটি জানাতে চায় না, তবে তাদের মনেও কখনো কখনো এমন কেউ থাকে, যার প্রতি তাদের বিশেষ অনুভূতি থাকে। বিবাহিত স্ত্রীরা কখনোই এই গোপন ক্রাশের কথা স্বামীর কাছে বলবেন না, কারণ এটি সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করতে পারে।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত থাকে, যেখানে স্ত্রীর পক্ষে সম্মতি না থাকা সত্ত্বেও তিনি স্বামীর সিদ্ধান্তে সায় দেন। স্ত্রীর এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হচ্ছে সংসারের শান্তি বজায় রাখা, যাতে কোনো ধরনের অশান্তি বা মনোমালিন্য না হয়। স্ত্রীরা এই বিষয়টি স্বামীর কাছে কখনোই প্রকাশ করেন না।
স্ত্রীরা সাধারণত তাদের সঞ্চিত অর্থ সম্পর্কে স্বামীকে সঠিক তথ্য জানান না। তারা নিজের জন্য কিছু টাকা সঞ্চয় করে রাখেন, যা কখনোই স্বামীকে জানানো হয় না। এই সঞ্চিত অর্থ পরবর্তীকালে সংসারের কোনও আর্থিক সংকট কাটাতে সহায়ক হতে পারে।
মহিলাদের শরীর পুরুষদের তুলনায় দুর্বল হয়। প্রতি মাসের মাসিক, গর্ভে সন্তান ধারণ, ঘরে ও বাইরে দুই জায়গাতেই অতিরিক্ত পরিশ্রম, এসব দিনের পর দিন চলার ফলেই মহিলাদের শরীর দুর্বল থাকে বেশি। তারা সাধারণত তাদের অসুস্থতা সম্পর্কে স্বামীকে জানান না। স্ত্রীরা তাদের স্বামীকে চিন্তা মুক্ত রাখতে এই বিষয়টি গোপন রাখেন। তবে, যদি এই অসুস্থতা গুরুতর হয়, তখন তারা অবশ্যই তা স্বামীর কাছে জানান।