02 MARCH, 2025
BY- Aajtak Bangla
চাণক্যের প্রতিটি নীতি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এই ইন্টারনেটের যুগেও তাঁর শ্লোকগুলির গুরুত্ব অসীম।
মানুষের কর্ম পদ্ধতি নিয়েও ব্যাখা করেছিলেন চাণক্য। আসুন সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে: 'মনসা চিন্তিকাম কার্য্য বচসা ন প্রকাশয়েত। মন্ত্রেন রক্ষয়েদ রহস্যময় কর্ম চাপি নিয়োজয়েত।' এর মানে কী?
এর মানে হল, 'মনের মধ্যে থাকা কাজের চিন্তা কারও সামনে প্রকাশ করা উচিত নয়, বরং এটিকে মনেই চেপে রেখে কাজ মন দেওয়া উচিত।'
চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে: 'প্রভূতঙ্কর্যমালপবন্তনারঃ কর্তুমিছতি। সর্বারম্ভেনত্তকর্যম সিংহদেকমপ্রাক্ষতে ॥' এর অর্থ কী?
এর অর্থ হল, 'সিংহ কখনও শিকার পেতে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয় না এবং সুযোগ পেলেই আক্রমণ করে। একইভাবে একজন ব্যক্তির উচিত তার লক্ষ্যের দিকে মনোনিবেশ করা।'
অর্থাৎ, মনসংযোগ কখনই হারানো উচিত নয়। যে লক্ষ্যটা স্থির করেছেন, সেটা অর্জন করেই ছাড়ুন।
চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে, আমাদের লক্ষ্য যত বড়, ঝামেলাও তত বড়। যারা দৃঢ়তার সঙ্গে এই অসুবিধাগুলির মোকাবিলা করে তারাই বড় সাফল্য পায়।
বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য, শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম নয়, প্রয়োজন অধ্যাবসায়ের। আচার্য্য চাণক্য এই বিষয়ে বলেছিলেন।
রাগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, একজন ব্যক্তিকে ধৈর্য ধরতে শিখতে হবে এবং রাগান্বিত হওয়ার আগে শান্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।