15 MAY, 2025
BY- Aajtak Bangla
আচার্য চাণক্য যিনি কৌটিল্য এবং বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত। চাণক্যের নীতি ভারতীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয় যা কেবল রাজনীতি ও প্রশাসনের ক্ষেত্রেই পথপ্রদর্শক নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
চাণক্য তাঁর নীতিতে শত্রুকে পরাজিত করার মন্ত্রও দেন। যদি আপনি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, শত্রুর হাত থেকে বাঁচতে বা কঠিন পরিস্থিতিতে এই নীতিগুলি ব্যবহার করেন, তাহলে শত্রু কোনওভাবেই আপনার ক্ষতি করতে পারবে না।
শত্রু সম্পর্কে চাণক্য যা বলেছেন তা হল, শত্রুকে কখনই দুর্বল বা ছোট মনে করা উচিত নয়। শত্রুর একটাই লক্ষ্য, যেকোনও উপায়ে ক্ষতি করা। এজন্য তাদের সর্বদা প্রতি খুব সতর্ক থাকতে হবে।
অনুলোমেন বলিনাম প্রতিলোমেন দুর্জনম্। স্বয়ং শত্রুঃ বিনয়েন বলেন ভা।
এই শ্লোকের অর্থ হল- যদি কোন শত্রু আপনার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়, তবে তার আচরণ অনুসারে আচরণ গ্রহণ করেই তাকে পরাজিত করা যেতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি শত্রু খারাপ প্রকৃতির হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাকে পরাজিত করা যেতে পারে। শত্রু যদি সমান শক্তির হয়, তাহলে নম্রতা এবং বল প্রয়োগ করে তাকে অপমানিত করা যেতে পারে।
ধৈর্য এবং সংযম যেকোনও ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলীর মধ্যে একটি। বিশেষ করে যখন আপনি শত্রুর কাছাকাছি থাকেন, তখন ধৈর্য এবং সংযম রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধৈর্য আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করলেও, সংযম আপনাকে ক্ষতি থেকে বাঁচায়।
যেকোনও কাজ করার আগে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। তাড়াহুড়ো করে নেওয়া যেকোনও কাজ বা পদক্ষেপ আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন শত্রুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে হয়, তখন সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন এবং একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা তৈরি করুন।
অন্যের সাহায্য নেওয়ার মধ্যে কোনও ভুল নেই। কারণ প্রতিটি কাজ একা করা যায় না। যদি আপনার শত্রু এমন হয় যে একা তাকে পরাজিত করতে পারবেন না, তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাহায্য নিন।
শত্রুকে পরাজিত করতে হলে প্রথমে তার দুর্বলতা খুঁজে বের করুন। এর মাধ্যমে শত্রুকে সহজেই পরাজিত করা সম্ভব। কিন্তু কখনোই শত্রুর কাছে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করবেন না এবং সেটা নিজের মধ্যেই রাখুন।