24 SEP, 2024
BY- Aajtak Bangla
আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে নানা বিষয়ে লিখেছেন। তিনি মানুষের জীবন, পাপ-পুণ্যে ইত্যাদি সম্পর্কে বলেছেন। চাণক্য নীতি অনুযায়ী, জীব একা জন্ম-মৃত্যুর চক্রে আটকে পড়ে, একাই পাপ-পুণ্যের ফল ভোগ করে।
একা একা অনেক রকমের কষ্ট ভোগ করে। তিনি একাই মোক্ষ লাভ করেন। কারণ বাবা-মা, ভাই-বোন, কোনও আত্মীয়-স্বজনই তাঁর দুঃখ ভাগাভাগি করতে পারেন না।
বেদ ও পুরাণে ধর্ম ও অধর্মের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে ধর্মকে বলা হয়েছে 'পুণ্য' আর অধর্মকে বলা হয়েছে 'পাপ'। পাপ-পুণ্যের মতো কাজ করার কোনও সময়সীমা নেই।
মানুষ তাঁর সারা জীবনে, এক বছরে, একদিনে বা এক মুহূর্তের মধ্যেও পাপ বা পুণ্য করতে পারেন। কিন্তু পাপ-পুণ্যের ভোগ হাজার বছরেও পূর্ণ হয় না।
অর্থাৎ আপনি আপনার জীবনে যা কিছু পাপ বা পুণ্য কাজ করেছেন, সেই কর্মের ফল আপনাকে জীবিত অবস্থায় বা মৃত্যুর পরেও ভোগ করতে হবে।
জীব জগতে একা আসে এবং মৃত্যুর পর একাই যায়। কিন্তু তাঁর দ্বারা করা ভাল-মন্দ কাজ তাঁর সঙ্গে যায় এবং সে একাই তাঁর কৃতকর্মের খেসারত বহন করে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, জীব যদি একা আসে আর একাই যায়। অথবা কেউ যদি গোপনে খারাপ কাজ করেন, তবে তাঁর ভাল বা খারাপ কাজের সাক্ষী কে?
ঠিক যেমন সূর্য থাকে না রাতে, আর চাঁদ থাকে না দিনে। এমনকি আগুন অনবরত জ্বলতে থাকে না। কিন্তু দিন, রাত্রি এবং সন্ধ্যায় এমন কেউ আছেন যিনি অবশ্যই সর্বদা সেখানে থাকেন। পৃথিবীতেও এমন কিছু আছে, যা সবসময় জীবের সঙ্গে থাকে।
সেজন্য মানুষ যখন কোনও অন্যায় কাজ করে তখন ধর্মদেব তা জানিয়ে দেন এবং জীব অবশ্যই তার শাস্তি পায়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, মানুষ ভাল বা মন্দ যে কাজই করুক না কেন, তার ১৪ জন সাক্ষী থাকে।
এগুলোর একটা না একটা সবসময় মানুষের সঙ্গে থাকে। মানুষের কর্মের ১৪টি সাক্ষী নিম্নরূপ- সূর্য, চন্দ্র, দিন, রাত, সন্ধ্যা, জল, পৃথিবী, অগ্নি, আকাশ, বায়ু, ইন্দ্রিয়, সময়, দিক এবং ধর্ম।