March 20, 2024
BY- Aajtak Bangla
চাণক্যের নীতিশাস্ত্রে জীবনের অনেক নীতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার বিয়ের আগে কিছু গোপনীয়তা জানা উচিত। তাই বিবাহিত জীবন সবসময় সুখী হবে। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য একজন ভালো জীবনসঙ্গী খোঁজা জরুরি।
জীবনসঙ্গী ঠিক না থাকলে জীবন চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ হতে পারে। এটি পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। আচার্য চাণক্যের এই নীতিগুলি যদি জীবনে অনুসরণ করা হয় তবে তা কেবল বিবাহ নয়, জীবনেও উপকারী হবে।
চাণক্য বলেছেন যে বিবাহিত জীবনে প্রবেশের আগে সঙ্গী সম্পর্কে কিছু জিনিস জেনে নেওয়া উচিত। বিয়ের আগে সঙ্গীর সম্পর্কে কী কী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা উচিত।
কাউকে বিয়ে করার আগে, শারীরিক সৌন্দর্য নয়, তার গুণের দিকে তাকান চাণক্য। চাণক্য বলেন, বিয়ের আগে ব্যক্তির মূল্যবোধের মূল্যায়ন করা জরুরি। কয়েক বছর পর শারীরিক সৌন্দর্য কমে যেতে পারে, কিন্তু মানুষের মূল্যবোধ ও চরিত্র কখনো কমে না।
একজন মানুষের সবসময় সম্পর্কের প্রতি অনুগত থাকা উচিত। যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে সে সর্বদা সুখী জীবনযাপন করে। একজন সৎ স্বামীর সাথে একজন মহিলা তাঁর বিবাহে সর্বদা সন্তুষ্ট থাকবেন এবং একজন সৎ স্ত্রী সহ একজন পুরুষ তাঁর জীবনে সর্বদা আনন্দ এবং উত্তেজনায় পূর্ণ থাকবেন।
চাণক্য বলেছেন যে একজন পুরুষ কখনই সুন্দরী মহিলার দিকে ধাবিত হবেন না। একজন নারীর জন্য পূণ্যবান হওয়া বেশি জরুরি। একজন গুণী মহিলা কঠিন সময়ে পরিবারকে সমর্থন করেন এবং তাঁদের দুঃখ থেকে মুক্তি দেন।
চাণক্য বলেছেন যে কোনও পরিবার বা সম্পর্কের অবসান ঘটতে পারে রাগ দিয়ে। তাই বিয়ের আগে স্ত্রীর চরিত্র যাচাই করা উচিত। চাণক্য আরও সতর্ক করেছেন যে আপনার যদি রাগান্বিত স্ত্রী থাকে তবে আপনি সারাজীবন অনুশোচনা করবেন।
বিয়ের আগে ঈশ্বরের প্রতি আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস কেমন তা জানা গুরুত্বপূর্ণ, চাণক্য বলেছেন। যে ব্যক্তি ঈশ্বরের কর্মে নিয়োজিত থাকে তাদের স্বভাবও অত্যন্ত ধার্মিক।
চাণক্য বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি বিবাহিত জীবন যেখানে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সম্মান করে না এবং একে অপরের সামনে একে অপরকে অপমান করে দুঃখ এবং অসুবিধায় পূর্ণ হবে। চাণক্য বলেছেন যে বিবাহিত জীবন সুখী হয় যখন স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরকে সম্মান করেন।