11 February 2024
BY- Aajtak Bangla
পণ্ডিত চাণক্য ছাত্র জীবন সম্পর্কেও অনেক উপদেশ দিয়ে গিয়েছেন। ছাত্রদের মনোজগৎ খুব ভালো ভাবে বুঝতেন তিনি।
তাঁর মতে, ছাত্রজীবনই শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময়টি মানুষের ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করে। এ সময় বাচ্চারা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান ও শিক্ষা অর্জন করে।
তাই, এই জীবনটা যদি খুব সাবধানে কাটানো যায় তবেই ব্যক্তির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে। আর যদি ছাত্রজীবন ভালভাবে না কাটে, তবে ব্যক্তির বাকি জীবনও সংঘর্ষ ও সঙ্কটে ভরে থাকবে।
চাণক্য নীতিতে, বিদ্যার্থীদের জন্য কিছু বিশেষ উপায়ের উল্লেখ করা হয়েছে, যা তাদের প্রতিটি পরীক্ষায় সাহায্য করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, আচার্য চাণক্যের মতে একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার জন্য কী ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
জীবনের যে কোনও পরীক্ষায় সফল হতে হলে সর্বদা সেই লক্ষ্যে ফোকাস রাখা উচিত। নিজের লক্ষ্য থেকে কখনই বিচ্যুত হওয়া উচিত নয়। শিক্ষার্থীদেরও নিজেদের লক্ষ্যে মনোনিবেশ করতে হবে।
চাণক্যের মতে, বিদ্যার্থীদের একটাই লক্ষ্য থাকা উচিত, তা হল সুশিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করা। পরীক্ষার সময় উচিত মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য বিষয় উপেক্ষা করে একাগ্রচিত্তে পড়াশোনা করা।
Fig
পরীক্ষার আগে অবশ্যই পড়াশোনার জন্য টাইম টেবিল তৈরি করুন। একটানা পড়াশোনা না করে, পড়াশোনার মাঝে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিন। যাতে একটানা পড়ার কারণে ক্লান্তি না আসে। একটি সাবজেক্ট মুখস্থ করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করুন।
শিক্ষার্থীদের খুবই সুশৃঙ্খল হতে হবে। সব কাজ সময়মতো করতে হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসরণ করা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই একজন মানুষকে সুস্থ রাখতে পারে। শিক্ষার্থীদেরও নিজেদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। একবার অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেকগুলো দিন নষ্ট হতে পারে, যা পরীক্ষার সময় অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
তাই এই সময় শিক্ষার্থীদের সুষম খাবার গ্রহণ করা উচিত। সময়মতো খাওয়া, ঘুম, মেডিটেশন খুব জরুরি। এতে ঘুম ভালো হবে, আর স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
পণ্ডিত চাণক্যের মতে, পড়াশোনায় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হতে পারে। পড়াশোনায় আলসেমি হল সবচেয়ে বড় শত্রু। আলস্য ছাত্রছাত্রীদের অসাফল্যের দিকে ঠেলে দেয়। তাই, শিক্ষার্থীদের অলসতা ত্যাগ করে প্রতিটি কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করা উচিত। ।
অনেক সময় ব্যর্থতার ভয় বাচ্চাদের মানসিক চাপে ফেলে। এই ভয়ে তারা পড়াশোনায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারে না এবং ক্রমাগত ভুল করতে থাকে।
অভিভাবকদের উচিত বাচ্চাদের মনোবল বৃদ্ধি করা, তাদেরকে ভালো ভাবে বোঝানো এবং তাদের পাশে থাকা, যাতে বাচ্চারা একেবারে মন খুলে পড়াশোনা করতে পারে এবং মনে কোনও দ্বিধা না থাকে।