27 February 2024
BY- Aajtak Bangla
প্রাচীনকালের বিশিষ্ট কূটনীতিজ্ঞ ও অর্থশাস্ত্রবিদ চাণক্যের প্রতিটি পরামর্শ আজকের দিনেও আমাদের জীবনে কার্যকরী। তাঁর লেখা বই চাণক্য নীতিতে তিনি মানব জীবনের বাস্তব দিকগুলি তুলে ধরেছেন।
আচার্য চাণক্যের পরামর্শগুলো সঠিকভাবে মেনে চললে শুধু সাফল্যই আসে না, বরং জীবনের প্রতিটি ভালো খারাপ মুহূর্তের জন্য নিজেকে প্রস্তুতও করা যায়।
চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে মা-বাবার দায়িত্বের কথাও উল্লেখ করেছেন। সন্তানদের যথার্থ মানুষ করে তোলবার জন্য বেশ কয়েকটি উপদেশ দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
চাণক্য বলেছেন, সন্তানকে সমাজে চলার উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব সবার আগে মা-বাবার। মা-বাবা তাঁদের সন্তানকে যেমন ভাবে গড়বেন, সেভাবেই তারা গড়ে উঠবে।
সন্তানের ভুলগুলো উপেক্ষা করবেন না চাণক্যের মতে, বাচ্চাকে যত বেশি আদর করা হবে, বাচ্চার মধ্যে তত বেশি দোষ ও জেদ চেপে বসবে। আদর, ভালোবাসা প্রত্যেক বাচ্চার জন্যই প্রয়োজনীয়। তবে অত্যধিক আদর দেওয়া এবং বাচ্চার দোষ ও ভুলগুলোকে গ্রাহ্য না করা হলে, তারা খারাপ পথে চলে যাবে এবং একই ভুল বারবার করতে থাকবে।
কখনও কখনও শাস্তি বা বকাঝকা করা বাচ্চাকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
পিতা-মাতার উচিত সন্তানের মধ্যে ভালো গুণাবলী গড়ে তোলা। সন্তানকে ভালো কাজে নিয়োজিত করতে হবে, নৈতিকতা, শালীনতা ও ভদ্রতা শেখাতে হবে। এই সব গুণ যে সকল বাচ্চার মধ্যে থাকে, তাঁরা পরিবারের নাম উজ্জ্বল করে।
পিতা-মাতার কর্তব্য হওয়া উচিৎ সন্তানদের মধ্যে জ্ঞান, যৌক্তিকতা, বিচারবুদ্ধি ও সহনশীলতার গুণ গড়ে তোলা।
সন্তানের শিক্ষার জন্য মা-বাবাকেই সবার আগে উদ্যোগী হতে হবে। সমাজে উপযুক্ত মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, প্রত্যেক মা-বাবার উচিত তাঁদের সন্তানকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করা। তবে যে সব মাতা-পিতা তাঁদের সন্তানকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ, তারা তাদের সন্তানের কাছে শত্রুর সমান।
ছেলেমেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করলে তাঁদের সারা জীবন নষ্ট হয়। তাই, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের সুশিক্ষা প্রদান করা।