30 SEPTEMBER 2024
BY- Aajtak Bangla
আচার্য চাণক্যকে শুধুমাত্র ভারতে নয়, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং কূটনীতিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
প্রায় ৩ হাজার বছর আগে তিনি চাণক্য নীতির উপর একটি বই লিখেছিলেন। এতে লেখা বিষয়গুলো আজও মানুষের জন্য প্রাসঙ্গিক।
এই বইয়ে তিনি মানুষকে কুকুরের ৮টি অভ্যাস গ্রহণ করতে বলেছেন। চাণক্যের মতে, যদি একজন ব্যক্তি এই অভ্যাসগুলিকে আত্মস্থ করে তবে সে তার জীবনকে আরও ভাল এবং সুখী করতে পারে।
কুকুর প্রতিটি নতুন জিনিস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। যতক্ষণ না তারা সে বিষয়টি ভালোভাবে জানে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা শান্তিতে থাকে না। একইভাবে, মানুষেরও কৌতূহলী প্রকৃতি থাকা উচিত। তাদেরও নতুন জিনিস শিখতে হবে এবং কৌতূহলী হতে হবে। এটি তাদের বিকাশকে ত্বরান্বিত করে।
কুকুর তাদের প্রভুদের খুব অনুগত। তারা তাদের মালিকের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করতে পারে এবং অন্যের জীবনও নিতে পারে। আচার্য চাণক্য বলেছেন যে মানুষেরও এই অভ্যাস গ্রহণ করা উচিত। তাদের জীবন, কাজ, সম্পর্ক ইত্যাদিতেও অনুগত এবং নিবেদিত হওয়া উচিত।
চাণক্যের মতে, কুকুর প্রতিটি ছোটখাটো বিষয়ে আনন্দ ও উৎসাহ দেখায়। তাদের বাড়িতে কোনো নতুন জিনিস বা নতুন অতিথি এলে তারা খুশি হয়। একইভাবে, মানুষেরও উচিত সারাক্ষণ সমস্যা নিয়ে কান্নাকাটি না করে জীবনের ছোট ছোট সুখগুলি উপভোগ করা।
চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে কুকুর একটি নির্ভীক প্রাণী। তার মালিককে সমস্যায় দেখে, সে তার চেয়েও ভয়ঙ্কর প্রাণীদের সঙ্গে লড়াই করে। এর ফল তার মৃত্যুও হতে পারে। মানুষেরও উচিত নিজেদের মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তোলা এবং সাহসিকতার সঙ্গে সমস্যার মোকাবিলা করা।
আচার্য চাণক্যের মতে, কুকুর খুব সতর্কতার সঙ্গে ঘুমোয়। সামান্য শব্দেই ঘুম থেকে জেগে ওঠে সে। একইভাবে, মানুষেরও ঘুমনোর সময় সতর্ক হওয়া উচিত। এমনকি সামান্য শব্দ হলে তার অবিলম্বে সতর্ক হোয়া উচিত। সেই আওয়াজ শত্রুর থেকেও হতে পারে।
কুকুরের স্বভাব খুব সংযত বলে মনে করা হয়। তিনি ক্ষুধার্ত হলেই খায় এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিসে লিপ্ত হয় না। একইভাবে, মানুষেরওক্ষুধা ছাড়া খাবারের পিছনে দৌড়ানো উচিত নয়।
চাণক্য বলেছেন যে কুকুর খুব সংবেদনশীল। তারা তাদের মালিকদের আবেগ অবিলম্বে বুঝতে পারে। প্রভু সমস্যায় পড়লে সহানুভূতি ও সান্ত্বনা দেয়। মানুষেরও উচিত এই প্রকৃতি অবলম্বন করা। তাদেরও অন্যের অনুভূতি বুঝতে হবে এবং সহানুভূতি দেখাতে হবে।